ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, শহীদ আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড আমাদের ভয়ংকর রাজনীতির এক কালো অধ্যায়। দেশে রাজনীতির নামে যে নীতিহীন স্বার্থবাদের প্যারাডাইম তৈরি হয়েছিল তার একটি উদাহরণ। আবরার ফাহাদের হত্যার বিচার করলেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, জান্নাতে আবরার ফাহাদের মর্যাদা আরও উন্নত হোক এই দোয়া করি। তার বাবা-মা, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। একইসঙ্গে আবরারের রক্তের দায় শোধ করার জন্য বাংলাদেশপন্থি ইতিবাচক রাজনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করছি।
চরমোনাই পীর বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বহুরৈখিক মাত্রা আছে। আবরারের মৃত্যু তার একটি দিক। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও বুয়েটের ছাত্র। তারাও মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মেধাবী সেই ছেলেগুলোকে খুনিতে রূপান্তরের দায় পুরোনো বন্দোবস্তের রাজনীতিকে এবং আওয়ামী লীগকে নিতেই হবে। অশুভ সেই রাজনীতি আমাদের হাজারো সন্তানকে অনকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাজারো সন্তানকে খুনিতে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে আসছি। আবরার হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকার বিচার করলেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ যে দল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্মম খুনিতে পরিণত করে, যে দল ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বলার কারণে দেশের নাগরিককে হত্যার উসকানি দেয়, তারা সকল বিবেচনাতেই দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পুরোনো বন্দোবস্তকে আর সুযোগ দেওয়া যায় না। সুযোগ দেওয়া হবে না। আজকের দিনে এটাই হোক আমাদের সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা।
মন্তব্য করুন