ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং-মিছিল ও সমাবেশ করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার গত ১৫ বছর ধরে জামায়াতের এই সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে চলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীর পান্থপথে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের শান্তিপুর্ণ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এক ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারণা করে এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জামায়াত-শিবির কর্মীসহ ১৩ জন নিরীহ পথচারিকে গ্রেপ্তার করে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহতভাবে জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
একইসাথে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে সরকারের পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। ফলে তারা জনগণের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে হামলা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতেও দ্বিধা করছে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতের কোনো স্বৈরাচারী জালেম সরকার যেমন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি তেমনি বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে নেতৃবৃন্দের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এই স্বৈরাচারী সরকার বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন