আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে সাবেক আমলারা গোপনে সভা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘সেখানে তারা বলেছেন- রক্তপাতের বিনিময়ে হলেও আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’
আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও গোপনে সভা করছেন দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওই সভায় তারা বলছেন খুনখারাবি করে হলেও বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে।’ গোপনে এসব সভা না করে প্রকাশ্যে এসব সভা করার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা জামিন পেয়েছেন। আর খালেদা জিয়ার বেলায় বললেন মুক্তি দেবেন না। দেশের মানুষ এর বিচার করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে নয়াপল্টনের সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে ছড়াকার আবু সালেহ তার লেখা ছড়া ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা’ আবৃত্তি করে শোনান।
মন্তব্য করুন