প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন আজন্ম লড়াকু যোদ্ধা। তিনি অবিরাম জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে। ২১ বার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। তারপরও তিনি এখনো উন্নয়নের যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন। আর বিরোধীরা সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে চায়।’
আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জয়যাত্রা : বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণের দিনটি স্মরণ করে এবং ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন আজ তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ, ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে তা বিকশিত হয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন আর তারই কন্যা একই ধারাবাহিকতায় শেষ করেছেন। প্রতিকূল পরিবেশে লড়াকু শেখ হাসিনা যুদ্ধ করেই আজকের অবস্থায় এসেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। যারা লাল-সবুজ পতাকার বদলে চান-তারা পতাকা চায়, সেই অসুর শক্তি আবারও আগামী নির্বাচনকে ঘিরে ছোবল মারতে উদ্যত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় শিক্ষা সংস্কৃতি সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে, সেগুলোই সম্পূর্ণ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজকে একটি রোল মডেল এবং ভবিষ্যতে এটি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, দীর্ঘদিন স্বৈরাচারীদের হাতে দেশ ছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের লাগাতার উন্নয়ন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসীম সরকার।
মন্তব্য করুন