মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৯ অক্টোবর রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অভিমুখে পদযাত্রা করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে দলটির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় এই কর্মসূচি শুরু হবে। তবে কোথা থেকে পদযাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানিয়ে ডা. ইরান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। তাই আজ জনজীবনে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে। জনগণকে সুফল দিতে হলে দ্রুত রেশনিং, টিসিবি, ন্যায্যমূল্যের দোকান, সুস্থ বণ্টন ব্যবস্থা চালু, পাইকারি ও খুচরা বাজারে রাষ্ট্রের প্রভাব-সক্ষমতা সৃষ্টি করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
লেবার পার্টির এই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই ব্যস্ত রয়েছে। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। সরকার গণপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই অগণতান্ত্রিক সরকারের পরিবর্তে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে গণদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না।
ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, রামকৃষ্ণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, অর্থ সম্পাদক রাসেল সিকদার লিটন, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসির উদ্দিন তালুকদার, ছাত্রমিশন কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন ও পেশাজীবী পরিষদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ। পরে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক ও এর আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন