আগামীকাল ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী। তাদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। নানা কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
বগুড়া থেকে এসেছেন রমজান আলী। তিনি বলেন, ‘আমি গত ১৮ তারিখ ঢাকায় এসেছি। পরের দিন যাত্রবাড়ি আড়ৎ থেকে আমরা কিনে বিক্রি করছি। এই সরকারের পতন না দেখে বাড়ি ফিরব না।’
এদিকে সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই রিকশা মিছিল করেন চালকসহ নয়াপল্টনে থাকা কয়েকশ নেতাকর্মী।
এদিকে পুলিশি গ্রেপ্তার, হয়রানি ও তল্লাশি এড়াতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা অনুসরণ করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ঢাকায় মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যে যাওয়া নেতাকর্মীদের দলবদ্ধভাবে না যাওয়া, হোটেল-মেসে না থাকা, স্মার্ট ফোন না ব্যবহার করাসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মহাসমাবেশ ঘিরে গত দুদিনে বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তারা আশঙ্কা করছেন, যাত্রাপথে তাদের বাধা ও হয়রানি করা হতে পারে। এ জন্য কৌশলে ঢাকায় ঢুকছে দলটির নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের গলিতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে শুক্রবার বিকেলে নাইটিঙ্গেল মোড়ে ডিবি প্রধান হারুন উর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই দলই সমাবেশে অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের।
শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৪০২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করতে দুই দল ও পুলিশের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে তাদের এ অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকল্প দুটি ভেন্যুর নামসহ ৭টি তথ্য চেয়ে আওয়ামী লীগকে চিঠি দেয় পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুলিশের চিঠির চাওয়া সব তথ্য দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন