গত কয়েকদিন ধরেই পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করে আসছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সতর্ক করে বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপি উসকানি দিয়েছে। তাদের কথায় কারখানা ভাঙলে নিজেরই ক্ষতি হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপি উসকানি দিয়েছে। অন্যের কথায় কারখানা ভাঙলে নিজেরই ক্ষতি হবে বলে সতর্ক করে শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।
আন্দোলনে উসকানিদাতাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘উসকানিতে কারা, তা আমরা জানি। তারা দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেই শ্রমিকদের মজুরি ১৬০০ থেকে ৮৩০০ টাকায় উন্নীত হয়। মজুরি বোর্ড কাজ করছে। তাদের (শ্রমিক) জন্য উপযুক্ত মজুরি ঘোষণা করা হবে। তার আগে কারখানায় ভাঙচুর করলে, হামলা করলে নিজেদেরই ক্ষতি। গ্রামে চলে যেতে হবে।
পোশাক শ্রমিকদের জন্য নানা সুবিধা আমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করে দিয়েছি বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতা-কর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে দলে দলে জড়ো হন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
এদিকে আজ আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে তিনটি স্টেশন দিয়ে শুরু হবে এ পথের বাণিজ্যিক যাত্রা। প্রাথমিকভাবে উত্তরা পর্যন্ত চলবে চার ঘণ্টা। দশ মিনিট পর পর আসবে ট্রেন। তিন মাসের মধ্যে বাকি স্টেশনগুলো চালু করে ভোর থেকে মধ্যরাতের পূর্ণ শিডিউলে চলবে মেট্রোরেল।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
পুরোপুরি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন