নানা জল্পনা-কল্পনার পর বুধবার (১৫ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তপশিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে চারটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
বদিউল আলম বলেছেন, আপনারা অনেকেই আমাকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু আমি সময় মতো জবাব দিতে পারি নাই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর আমি নিম্নোক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছি।
এই তপশিল নিয়ে তার চারটি প্রশ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চারটি প্রশ্ন হলো—প্রথমত, অতীতের দুটি ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের কারণে সৃষ্ট বর্তমান সরকারের লেজিটিমিসির অর্থাৎ বৈধতার যে সংকট চলছে তা এই নির্বাচনের সম্পন্ন হলে দূরীভূত হবে কি না?
দ্বিতীয়ত, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের’ সাংবিধানিক দায়িত্ব। আহূত নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে কি ‘আউয়াল কমিশনের’ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করা হবে?
তৃতীয়ত, এই নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে কি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বাড়বে?
চতুর্থত, এই নির্বাচনের পর বাংলাদেশে কি গণতন্ত্র শক্তিশালী ও কার্যকর হবে?
মন্তব্য করুন