১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, পুরো বিশ্ব যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, সুশাসন ও মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার, তখন দু-একটি রাষ্ট্রের বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া খুবই দুঃখজনক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণ প্রয়োজনে জাতিসংঘের সাহায্য নিতে পারে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তারা। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ‘অবরোধ’ সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন -বিজয়নগর মোড় ঘুরে পল্টন মোড় এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। ৭ জানুয়ারি বাংলার মাটিতে নির্বাচন হবে না। দেশের জনগণ এই নির্বাচন প্রতিহত করবে। তারা সরকারের পরিবর্তন চায়, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরত চায়।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আওয়ামী লীগ নিদারুণ নিপীড়ন-নির্যাতন চলাচ্ছে। জনগণের পিঠের আঘাত না শুকাতেই এই সরকার পেটে লাথি মারা শুরু করেছে। নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটু, এম এ বাশার, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান পিন্টু, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন