কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩ দিনের কর্মসূচি দিল গণতন্ত্র মঞ্চ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

আগামী ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ভেতর দিয়ে সরকারের বিদায় নিশ্চিত করতে সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র গণতন্ত্র মঞ্চ। এই লক্ষ্যে আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল করবে এই জোট।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা একদফা আন্দোলনের নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- (জেএসডি)-র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশ শেষে একটা মিছিল তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার নির্বাচন-বিরোধিতা বন্ধ করার নামে বিভিন্ন এজেন্ট দিয়ে নাশকতা তৈরি করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে- ট্রেনে আগুন লাগার পর কোনোরকম তদন্ত না করেই পুলিশপ্রধান বলেছেন, আন্দোলনকারীরা এ কাজ করেছে। যেখানে আগুন লাগার পরেও ট্রেন না থামিয়ে ১২ কিলোমিটার চলেছে, সেটার তদন্ত না করে এ কথা বলা নিশ্চিতভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। তারা বলেন, ব্যাংকসহ পুরো অর্থনীতি সিন্ডিকেটের কবলে। এই লুটেরা সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে সরকারকে টিকিয়ে রাখছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো অবস্থা তৈরি করে মানুষের জীবনকে অনিরাপদ করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৌকায় ভোট পড়বে ৭০ শতাংশ। তার মানে সরকার ৭০ শতাংশ ভোট দেখাবে। জনগণ এই একতরফার তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই উনারা আগে থেকেই এসব মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ভোট হবে এটা রেডিও-টেলিভিশন বলে, মানুষ বলে না। ভোট কেমন হচ্ছে, তা জি এম কাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। ভিক্ষার চালের ভোট তিনি করবেন না বলে সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন। সরকারের ছায়ায় থাকা বিরোধী দল যখন এ কথা বলে, তখন নির্বাচন কেমন হবে তা জনগণের কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার।

নেতারা বলেন, মিছিল-মিটিংয়ের অধিকার হরণ করে প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। অবিলম্বে তামাশার তপশিল স্থগিত এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় গাইবেন আতিফ আসলাম, আয় যাবে জুলাই শহীদদের পরিবারে

ঢাকা-৭ আসনে ৩১ দফার প্রচারণা মীর নেওয়াজের

গভীর রাতে সাংবাদিক সোহেলকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি

বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বললেন ভারতের কোচ

ভারতের বিপক্ষে জয় ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তের একটি : হামজা চৌধুরী

হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে চিঠি দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রাজধানীতে রাতে গাড়িতে আগুন

পিপি কার্যালয়ের সামনে পটকা ফুটিয়ে ভীতির চেষ্টা

গভীর রাতে রাজধানীতে মার্কেটে আগুন

বাংলাদেশ দলকে জামায়াত আমিরের অভিনন্দন

১০

টানা ২ দফায় স্বর্ণের দাম কত কমলো দাম?

১১

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে ৫ সেবা

১২

পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ঝালকাঠির শিশু রাইসার পাশে তারেক রহমান

১৩

ভারতকে হারিয়ে হামজাদের জন্য ২ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক বোনাস

১৪

২২ বছর পর বাংলাদেশের ভারত বধে তারেক রহমানের অভিনন্দন

১৫

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

১৬

তারেকের দল নিয়ে যে তথ্য দিল ইসি

১৭

জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি : ফারুক

১৮

কালবেলা-এসএমসি ডায়াপার গোলটেবিল বৈঠক / সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব শিশুর নিউমোনিয়া প্রতিরোধ

১৯

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে ব্রাজিল

২০
X