দলীয় সরকারের অধীনে আগামী ৭ জানুয়ারির একতরফা, ডামি, পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
তারা বলেছেন, দেশি- বিদেশিদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাওয়াকে উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন হয়ে গেলে বাংলাদেশের ওপর বিবিধ পদক্ষেপ, নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তাই সরকারকে বলব, অবিলম্বে এই পাতানো নির্বাচন বন্ধ করুন। একই সঙ্গে ভোটারদেরও বলবো, আপনারা এই নির্বাচনী তামাশা বর্জন করুন।
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি - জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনের বছর ধরে দেশে জুলুম-অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম করেছে। তারা সংবিধানকে টার্গেট করে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। ক্ষমতায় থাকতে আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে। কিন্তু জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীনদের এই নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীকে মুক্ত করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি, ১২ দলীয় জোটকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সে কারণে ফের ক্ষমতায় থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে। কিন্তু এভাবে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
দেশবাসীকে ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী নাটকের দর্শক হবেন না। ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়ার যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ এলডিপি শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আবদুল মালেক চৌধুরী, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন খান রাজু, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, এরশাদুর রহমান, ইসরাফিল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মো. জোবায়ের মাহমুদ, জহির হোসেন, ইমরান হোসেন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, জাগপা ছাত্রলীগের আবদুর রহমান ফারুকী, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন