বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের লোকজন জানে, ৭ তারিখের প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। তাই তারা জনগণকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু এবার জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা ইতিমধ্যে এ নির্বাচনী তামাশা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর, পল্টন, দৈনিক বাংলা ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে একতরফা ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি-বিপিপির যৌথ উদ্যোগে এ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আব্দুল কাদের বলেন, জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। জনগণ এ সরকারকে বর্জন করেছে এবং নির্বাচনকে বর্জন করেছে। সরকার এবং তার লোকজন জানে ৭ তারিখের প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। তাই তারা জনগণকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিচ্ছে। কেউ বলছে হাত-পা ভেঙে ফেলবে, কেউ বলছে দেশ থেকে চলে যেতে, কেউ বলছে ভাতা বন্ধ করে দেবে। এভাবে জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আগে দেখতাম ভোটের আগে প্রয়োজনে জনগণের হাত-পা ধরত প্রার্থীরা, আর এখন হুমকি দেয়। দেশের জনগণকে সম্মান দূরে থাক, তারা প্রজার মতো আচরণ করে। তারা জানে, ক্ষমতায় আসতে জনগণের ভোট লাগে না। তাই জনগণের কোনো দামও তাদের কাছে নেই।
বিপিপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এখন সত্য বলা শুরু করেছে। তাদের নেতারাই এখন বলছেন- ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি হয়েছে। তাই জনগণ এবার এ সরকারকে তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে। জনগণ নির্বাচন বয়কট করেছে। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণ যাবে না।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন