আলোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না জাতীয় পার্টির। নির্বাচনের আগে এবং পরে বারবার রাজনীতিতে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করেছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে আজ রোববার দুপুরে নিজেকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে কাউন্সিলের সময় ঘোষণা করেন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় সভা শেষে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা ১ মার্চ জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবে বলে জানানো হয়। এ সময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।
এ সময় সভায় ৪ জন এমপিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে রওশন নিজেকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করে বলেন, জাতীয় পার্টি এখন একটি ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বক্তব্য ও বিবৃতি এবং নির্বাচনপরবর্তী সময়ে তাদের ভূমিকা পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করেও জনগণরে সামনে অস্বীকার করে দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ছয়টি বিষয় উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ব্যতীত পার্টির অন্যান্য পদ পদবি স্ব স্ব অবস্থায় বহাল থাকবে।
মন্তব্য করুন