ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, প্রহসনের একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশকে স্থায়ী সংকটে ফেলে দিয়েছে। দেশে রিজার্ভ সংকটে মারাত্মক আকার ধারণ করছে। দুর্নীতির কারণে দেশে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা সংগঠনটির ঢাকা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জের কালিগঞ্জ জোড়া ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার হরণ করেছে সরকার। সাংবিধানিকভাবে অবৈধ নির্বাচন ও সরকারের কার্যভার গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে সংকটের মধ্যে ফেলা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে ৩০ জানুয়ারি যে ডামি সংসদ অধিবেশন বসেছে- তা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার হরণ করার সংসদ। ডামি নির্বাচন ও ডামি সংসদের প্রতিবাদে যখন বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ মিছিলে হামলা করে ন্যক্কারজনক অধ্যায় সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে ব্যাংকগুলো খালি, নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে। সংকট উত্তরণের জন্য এখন টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকে সরবরাহ করা হচ্ছে, যা নতুন করে অবধারিতভাবেই লুটের আয়োজন হবে। অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভেঙে পড়ার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের দাপটে নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতা বৈধতার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমা সমকামিতার এজেন্সি নিয়েছে। এজন্য একজন শিক্ষক প্রতিবাদ করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে। শিক্ষা কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে। ৯২ ভাগ মানুষের চিন্তার আলোকে নতুনভাবে কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থার বড় অসারতা হলো- শিক্ষার্থীদের ডিভাইসমুখী করা, নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়া, পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়া। এ ছাড়াও ৯ম শ্রেণিতে বিভাগ উঠিয়ে দেওয়া, নাচ- গানকে প্রমোট করা, কৌশলে ইসলাম ধর্মকে হেয়প্রতিপন্ন করা।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার নামে কুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে দিতে পারি না। তিনি শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করে মুসলমানের চিন্তা চেতনার আলোকে নতুন করে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের দাবি জানান। পরে একটি মিছিল বের হয়ে কালিগঞ্জ আগানগর, কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
সংগঠনের সেক্রেটারি হাজী শাহীন আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ হানিফ মেম্বার, আলহাজ সুলতান আহমদ খান, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, মাওলানা বিল্লাল হোসেন, আলহাজ শামীম খান, মুহাম্মদ শাহীন আহমদ খান, মাওলানা জালাল হোসাইন চাঁদপুরী, মুফতী মিরাজুল ইসলাম মুঈন, এইচএম ইবরাহীম।
মন্তব্য করুন