প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা এবং রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তিনি ১০ মামলায় জামিন পেয়েছেন।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০ মামলার মধ্যে ৯ মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পাননি। পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর এই বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় পুলিশের আবেদনের পর গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। গত ১৭ জানুয়ারি আসামিপক্ষের আবেদনের পর রমনা ও পল্টন থানার আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় জামিন পান আমীর খসরু। পরদিন ১৮ জানুয়ারি তিনি রমনা ও পল্টন মডেল থানার আরও চার মামলায় জামিন পান। গত ২১ জানুয়ারি রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আরও দুই মামলায় জামিন দেন আদালত। গত ২৪ জানুয়ারি পল্টন থানার আরেক মামলায় জামিন পান আমীর খসরু। তবে রমনা থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন