কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জামায়াত যেহেতু নিষিদ্ধ নয়, সেজন্য সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি

জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সেজন্য তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটারই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদের সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্য, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানোর জন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ২০০৭ সালে ১৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুতরাং আজকের এই দিনটি শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, অপরাজনীতি, তাদের নেতৃত্বে জঙ্গিদের উত্থান, দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার, পরপর দেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। স্বাভাবিক ধারণা ছিল, যাদের দুঃশাসনের কারণে ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই তারা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারা প্রথমে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে, পরে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। খালেদা জিয়াকে তারা প্রথমে গ্রেপ্তার করেনি।

সেনা সমর্থিত সেই সরকার দুর্নীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিল এবং তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি।

শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেই কারণে তার মুখ স্তব্ধ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তারা বুঝতে পেরেছিল, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেই সময়কার সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, সোচ্চার হয়েছিল, সেই কারণেই তারা শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।’

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

১০

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

১১

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১২

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১৩

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১৪

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৫

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৬

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৭

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

২০
X