খান লিটন, কসোভো থেকে ফিরে
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৮ এএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কসোভো হতে পারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পরবর্তী গন্তব্য

ছবি : লেখক
ছবি : লেখক

কসোভো ইউরোপের বলকান অঞ্চলের একটি রাষ্ট্র। এটি আগে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিল। বহির্বিশ্বের সহায়তায় দেশটিকে ইউরোপের আদলে সাজাতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

রাজধানী প্রিস্টিনা ঘিরেই দেশটিতে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট ড. ওভাসি ওসমানী দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে কসোভো নাগরিকরা ভিসা ছাড়া যেতে পারবেন, সেখানে কাজ করতে পারবেন, এমন আইন পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এটা হলে দেশটির উঠতি যুবশক্তি কসোভো ছাড়বে ৮০ শতাংশ, যাবে উন্নত ইউরোপে।

তখন কসোভোর প্রচুর অভিবাসী শ্রমিক দরকার পড়বে। বাংলাদেশ যেহেতু শ্রমিক রপ্তানিকারক দেশ, তাই বাংলাদেশ এ সুযোগটি নিতে পারে।

বাংলাদেশ সরকার কসোভো সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে শ্রমিক পাঠাতে পারে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশ পাবে রেমিট্যান্স, কসোভো পাবে শ্রমশক্তি।

তবে এখনও বেসরকারিভাবে শ্রমিক আসছে। কিন্তু কেউ কসোভো থাকতে চাইছেন না। কসোভোকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আসা শ্রমিকরা। চলে যাচ্ছে অন্য কোনো দেশে।

আমি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খুঁজেও এখানে কোনো বাংলাদেশির সঙ্গে পরিচিত হতে পারিনি। এটা হয়তো আমার দুর্ভাগ্য।

তবে অবাক করা ব্যাপার হলো, প্রিস্টিনা শহরের সব ফটোকপির দোকান এবং নোটারি পাবলিক আইনজীবীরা বাংলাদেশকে ভালোভাবে চেনেন। কারণ, তারা বাংলাদেশিদের কাগজপত্র ফটোকপি ও সত্যায়িত করার কাজ করেন।

আমি এক সপ্তাহে অন্তত এক ডজন ফটোকপির দোকান ও নোটারি পাবলিক আইনজীবীর খবর নিয়েছি। সবাই কাগজপত্রে বাংলাদেশিদের চেনেন। তারা জানান, বাংলাদেশিরা কসোভোতে থাকেন না। বাংলাদেশ ছেড়ে আসার আগেই টার্গেট থাকে বা শ্রমিক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি থাকে যে, তারা ইউরোপের অন্য দেশে চলে যাবেন।

আরেকটি কারণ, বেতন কাঠামো। আশপাশের অন্য দেশের চেয়ে এখানে বেতন কম। বেশীর ভাগ শ্রমিকদের বেতন মাসে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

কসোভোর শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা, দুপুরের খাবার এবং চিকিৎসা বীমা মালিকদের করতে হয়। কিন্তু অনেক শ্রমিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিক আনে।

আমার পরামর্শ থাকবে, যারা এখানে আসবেন, ভালো করে জেনে-শুনে আসবেন। আসার পর এখানেই থাকুন। বেতন একটু কম হলেও আধুনিক মুসলিম পরিবেশে ভালোই থাকবেন। সবচেয়ে বড় কথা, বৈধভাবে অভিবাসী হয়ে বসবাস করাই শ্রেয়।

লেখক: সাংবাদিক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাকরাইলে জড়ো হচ্ছেন জবি শিক্ষার্থীরা, চলছে অনশনের প্রস্তুতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুশইনের আশঙ্কায় বিজিবির কঠোর অবস্থান

রূপপুর প্রকল্প ‘বন্ধের ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

আনচেলত্তিকে কোচ ঘোষণা করতেই বরখাস্ত ব্রাজিল ফুটবল প্রধান

পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ১৮

‘সব দোষ পাকিস্তানিদের’

দেড় কোটি টাকার কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ যুবক গ্রেপ্তার

ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

১০

ট্রাম্পের কথায় ‘ভারত-পাকিস্তান উভয়ই খুশি’

১১

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৩০

১২

মানবাকৃতিতে জে-১০সি বানিয়ে পাকিস্তানের বাহিনীকে শ্রদ্ধা

১৩

পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত, এরপর?

১৪

‘সুপার পাওয়ার’ ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান

১৫

ভারত যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা নাও করতে পারে : বিলাওয়াল

১৬

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৭

১৬ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৮

তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা : সিইউজে ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

১৯

১৬ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X