নোয়াখালী হাতিয়ায় একটি জিআর মামলায় জসিম উদ্দিন নামে এক আসামিকে বিশ বছরের সাজা দেন আদালত। সাজা থেকে বাঁচতে প্রকৃত নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে তেইশ বছর নিজেকে আড়াল করে রাখেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জসিম উদ্দিন উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড শুল্যকিয়া গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে। হাতিয়া থানার এসআই মিনহাজুল আবেদিন জানান, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৯৯১ সালে একটি জিআর মামলা করা হয়। সে মামলায় ২০০২ সালে তথ্য-প্রমাণাদির ভিত্তিতে ২০ বছরের সাজা প্রদান করেন মহামান্য আদালত। তাকে গ্রেপ্তারে অনেক দিন ধরে কাজ করে আসছে পুলিশ। তাকে যেন আইনের আওতায় না আনতে পারে সেজন্য তিনি তার প্রকৃত নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলেন। তিনি তার নাম গিয়াস উদ্দিন রেখে এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ বছর ধরে খণ্ডকালীন চাকরি করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নাম ঠিকানা বের করে অভিযান চালিয়ে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। হাতিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযান ও অপারেশন ডেভিল হান্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও থানা এলাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তারসহ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন