কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:২২ এএম
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উমামার ‘রহস্যময়’ দরখাস্ত ভাইরাল

উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত
উমামা ফাতেমা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনীতি ছাড়া অন্য সব দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন বামপন্থি ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্যসচিব উমামা ফাতেমা। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই দরখাস্ত ‘ভাইরাল’ হয়েছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর এ সংক্রান্ত দরখাস্তের আবেদন করেন তিনি।

দরখাস্তে উমামা ফাতেমা লেখেন, কবি সুফিয়া কামাল হলে আমরা গত বছরের ১৭ জুলাই সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসন থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি নিতে সমর্থ হই যে, সুফিয়া কামাল হলে সব ধরনের রাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস) নিষিদ্ধ থাকবে।

তিনি লেখেন, ‘গত এক বছরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের এই চুক্তি বলবৎ ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে কতিপয় সংগঠন গুপ্তভাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে হলে। অতঃপর আজ সকালে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল হলে সাত সদস্যবিশিষ্ট হল কমিটি ঘোষণা করেছে।’

উমামা লেখেন, আমরা শিক্ষার্থীর মনে করি, তাদের এইসব কার্যকলাপ, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া উল্লিখিত চুক্তিকে ভঙ্গ করে, যা স্পষ্টত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।

এ দরখাস্তে চারটি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে সেগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন উমামা ফাতেমা। কিন্তু বাম সংগঠনগুলো নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। যদিও হলে বামপন্থি শিক্ষার্থীরাও অবস্থান করছেন। কোনো কোনো হলে তাদের কমিটিও রয়েছে।

এর আগে তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার রাতের মধ্যে এটি স্থগিত করার আলটিমেটাম দেন।

উমামার দরখাস্তের বিষয়ে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হামজা মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে লেখেছেন, ‘উমামা ফাতেমা হলে বাম রাজনীতি ছাড়া আর কোনো রাজনীতি চান না। এটা কেমন কথা? মানে হিপোক্রেসি এট ইট’স পিক! হল এবং একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির বিরুদ্ধে সবাই, আর উনি হচ্ছে বাম রাজনীতি ব্যতীত বাকি সব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’

এদিকে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা ঘিরে শুক্রবার রাতে হল পলিটিকসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাত সাড়ে ১২টায় রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভ করে বেরিয়ে আসে। এরপরই সব হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে জড়ো হন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এরপর হলে সব প্রকার প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পাশাপাশি হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাদাপাথরে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ

ইউআইইউতে মিডিয়া ফেস্ট-২০২৫ অনুষ্ঠিত

ডার্বিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আরও দুঃসংবাদ পেল রিয়াল

মহাকাশ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর বিখ্যাত যে ১০ স্থান

১৫ দিনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনিয়ম তদন্তের দাবি

ফেটে গেছে তিতাস গ্যাস সঞ্চালনের মূল পাইপ

জাতিসংঘে পাকিস্তানকে ‘আক্রমণ’ করল ভারত

স্বাস্থ্যকর্মী লাপাত্তা, বন্ধ দুই কমিউনিটি ক্লিনিক

খাগড়াছড়িতে অবরোধের মধ্যে মোটরসাইকেল ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ

‘নেপালকে বর্তমান সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালাব না’

১০

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসকের নাম চূড়ান্ত, শিগগিরই ঘোষণা

১১

আসছে নিষেধাজ্ঞা, উপকূলজুড়ে বিষাদের ছায়া

১২

হাজি সেলিমের বাড়ি থেকে ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ

১৩

বাগরাম দখলে পাঁয়তারা ট্রাম্পের, বাগড়া দিচ্ছে রাশিয়া-চীন-ইরান-পাকিস্তান

১৪

হজের তিন প্যাকেজ ঘোষণা, কমছে খরচ

১৫

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান

১৬

দুই দাবিতে ইউজিসিতে জবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান

১৭

অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৮৯টি পূজামণ্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে পুলিশ

১৮

যুবলীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক গ্রেপ্তার

১৯

১ অক্টোবর খুলছে না কেওক্রাডং পর্যটন কেন্দ্র

২০
X