কোভিড -১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ মোকাবেলা করার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘স্টকপাইল’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে দশ মিলিয়ন ডলারের দুই বছর মেয়াদি সহযোগিতামূলক প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে মনোনীত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন এজেন্সি (পিআইএ) হিসেবে এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (আসেফ) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি)-কে মনোনীত করেছে। এই প্রকল্পের জন্য বাছাই করার ক্ষেত্রে, আইএফআরসি প্রাকৃতিক বিপত্তির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যারা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে কোভিড- ১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ন্যাশনাল হেডকোয়ার্টারে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন এবং আইএফআরসি এর চুক্তি স্বাক্ষরের সময় মালয়েশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারপার্সন, দাতো’ সেরি ডি রাজা তান শ্রী টুঙ্কু পুতেরি ইন্তান সাফিনাজ বিন্তি আলমারহুম সুলতান আব্দুল হালিম মু'আদজাম শাহ, টুঙ্কু তেমেনগং কেদাহসহ মালয়েশিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূত, তাকাহাশি কাতসুহিকো, এএসইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক, রাষ্ট্রদূত তোরু মরিকাও এবং আঞ্চলিক পরিচালক আইএফআরসি আলেকজান্ডার ম্যাথিউ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্র, চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির সুযোগ বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, জাপান সরকার এশিয়া-ইউরোপ মিটিং (আসেম) দেশগুলিতে কোভিড- ১৯ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য ‘স্টকপাইল’ প্রকল্পে এই দশ মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে। এই তহবিলটি ব্যবহার করে আইএফআরসি এবং ন্যাশনাল সোসাইটিসমূহ একটি কাঠামোবদ্ধ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ‘স্টকপাইল’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
মন্তব্য করুন