

জাপানের যুদ্ধবিমানকে নিশানা করে ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার নির্দেশ করেছে করেছে চীন। আন্তর্জাতিক জলসীমায় ওকিনাওয়া দ্বীপের কাছে টহলে থাকাকালে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এমন দাবি করেছেন। শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুই দফায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার ভোরে এক্সে এক পোস্টে কোইজুমি লেখেন, ঘটনাটি নিয়ে টোকিও বেইজিংয়ের কাছে ‘কঠোর প্রতিবাদ’ জানিয়েছে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা দাবি করেছেন তারা।
তিনি বলেন, এই রাডার নির্দেশনা নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার সীমা অতিক্রম করেছে এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক।
ফায়ার-কন্ট্রোল রাডার লক সাধারণত আক্রমণের পূর্বসংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, যা প্রতিপক্ষের বিমানকে দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।
এ ঘটনায় পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে চীন। রোববারই এক বিবৃতিতে চীনা নৌবাহিনী জানায়, প্রশিক্ষণ চলাকালে জাপানি স্বয়ংরক্ষাবাহিনীর বিমান তাদের নৌবহরের কাছে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করে ‘বাধা সৃষ্টি করেছে’। জাপানের দাবি ‘তথ্যগতভাবে অসংগত’ বলেও উল্লেখ করে চীন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ওকিনাওয়ার নিকটবর্তী এই এলাকাগুলো চীন ও জাপান উভয়েরই দাবি করা বিতর্কিত অঞ্চলের কাছে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে গুরুতর সামরিক মুখোমুখি অবস্থান।
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ঘোষণা করেন, তাইওয়ানকে ঘিরে চীন সামরিক পদক্ষেপ নিলে এবং তা জাপানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করলে টোকিও পদক্ষেপ নিতে পারে। এরপর থেকেই দুই দেশের উত্তেজনা বেড়েছে।
তাইওয়ান জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়োনাগুনি দ্বীপ থেকে মাত্র ১১০ কিমি দূরে অবস্থিত। এটিকে বেইজিং নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
কোইজুমি জানান, ঘটনায় জড়িত চীনা জে-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো লিয়াওনিং বিমানবাহী রণতরি থেকে উড্ডয়ন করেছিল, যা ওই সময় ৩টি মিসাইল ডেস্ট্রয়ারসহ ওকিনাওয়ার দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন