অনেকেই ঘরে বা বাথরুমে একা থাকলে নির্দ্বিধায় উলঙ্গ হয়ে গোসল করেন। বিষয়টি তুচ্ছ মনে হলেও ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মোটেও তুচ্ছ নয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের জীবনযাপনের প্রতিটি বিষয়ে শালীনতা ও পর্দার আদব শিখিয়েছেন— এমনকি একা অবস্থায়ও।
কারণ, ইসলামে পর্দা শুধু মানুষের সামনে নয়, বরং আল্লাহর উপস্থিতি সচেতনভাবে অনুভব করার একটি অভ্যাস। তাই উলঙ্গ হয়ে গোসল করা বা কাপড় সম্পূর্ণ খুলে থাকা ইসলামি শরিয়তে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
ইসলামি স্কলাররা বলছেন, যারা বাথরুমে খোলামেলা গোসল করে থাকেন, আজ থেকেই এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা জরুরি। কারণ, বাথরুমে গোসল করলে ৩টি বিপদ দেখা দিতে পারে।
কালবেলার পাঠকের জন্য সেই ৩টি বিপদের কথা জানিয়েছেন রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ। চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই—
১. বদজ্বিনের আক্রমণ
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা বাথরুমে প্রবেশের সময় এই দোয়া পড়বে, ‘ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ‘জুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাইস।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি বাথরুমের বদজ্বিন ও শয়তান থেকে। (মুসলিম : ৭১৮)
মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলছেন, নবীজি (সা.) এই দোয়া পড়তে বলার কারণ হলো, বাথরুমে বদজ্বিন ও শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। কেউ যখন উলঙ্গ হয়ে গোসল করে, তখন শয়তান ও বদজ্বীন তার গোপনাঙ্গ নিয়ে খেলা করে। তাই বাথরুমে শয়তান ও বদজ্বিনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে খোলামেলা গোসলের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
২. হাতের যেনা
মুফতি ইয়াহয়া শহিদ বলেন, বাথরুমে খোলামেলা গোসল করার সময় গোপনাঙ্গের দিকে দৃষ্টি পড়ে। এতে শয়তান অনেকের মাথায় চেপে ধরে এবং মনকে হস্তমৈথুনের দিকে প্রভাবিত করে। তাই হস্তমৈথুনের পাপ থেকে বাঁচতে হলে খোলামেলা গোসল পরিহার করতে হবে।
৩. লজ্জা কমে যাওয়া
হাদিসে এসেছে, লজ্জা ঈমানের অংশ (মুসলিম : ৫৮)। ফুক্বাহায়ে কেরামের দাবি, যারা বাথরুমে খোলামেলা গোসল করেন, তাদের লজ্জা ধীরে ধীরে কমে যায়। ফলে তারা যেকোনো ধরনের পাপে লিপ্ত হতে থাকে। এমনকি সামাজিকভাবেও নিরলজ্জ আচরণ শুরু করে।
এ ছাড়া অনেক ইসলামি স্কলারের দাবি, যারা বাথরুমে খোলামেলা গোসলরত অবস্থায় লজ্জাস্থানের দিকে বেশি তাকান অথবা গোপনে লজ্জাস্থানের দিকে বেশি নজর দেন, তাদের চোখের জ্যোতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি মেধাশক্তি হ্রাস পেতে পারে বলেও দাবি আলেমদের।
মন্তব্য করুন