পবিত্র রমজানের প্রত্যেকটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রোজার সময় যে কোনো ইবাদতে প্রতিদান পাওয়া যায় ৭০ গুণ। এজন্য একজন মুসলমানের উচিত রমজান মাসে ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
হাদিসে এসেছে, যারা মর্যাদার মাস রমজান পেল কিন্তু নিজেদের গুনাহ মাফ করাতে পারল না, তাদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই।
রমজান মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত। প্রথম ১০ দিন ছিল রহমতের। যা শেষ হয়েছে আগেই। মাগফিরাতের দশকও শেষ প্রান্তে। সামনে নাজাতের শেষ ১০ দিন।
নাজাত পেতে এই দশ দিনে আমল বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কারণ শেষ দশ দিনেই রয়েছে ইতিকাফ ও লাইলাতুল কদর। মুসল্লিরা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের পাশাপাশি কী কী আমল করতে পারেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো আমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে জীবনের সবচেয়ে বেশি ইবাদতে মগ্ন হতেন। ইতিকাফ এই দশকের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দ্বিতীয় হিজরিতে রোজা ফরজ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নবীজি (সা.) কখনো ইতিকাফ ত্যাগ করেননি।
তিনি আরও লিখেছেন, ইতিকাফ অনেকটা দাবি আদায়ের জন্য কারও চৌকাঠে বসে যাওয়ার মতো ব্যাপার। দুনিয়ার সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে আল্লাহর ঘরে বসে যাওয়ার নাম ইতিকাফ। ইতিকাফের আবেদন অনেকটা এমন- যেন ক্ষমা না নিয়ে ঘরে ফিরব না। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদরে ইবাদতের পথ সবচেয়ে সহজ হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, যে ইবাদত নবীজি (সা.) জীবনে একবারও বাদ দেননি, সেই ইবাদত আমরা অনেকে জীবনে একবারও করতে পারিনি। অথচ ইতিকাফ এমন একটি ইবাদত যার তৃপ্তি মানুষকে বারবার ইতিকাফ করতে উৎসাহিত করে। যে আল্লাহ বছরে ৩৬৫টি দিন দিলেন, সেই আল্লাহর জন্য আমরা কি ১০টা দিন উৎসর্গ করতে পারি না! আসুন, আমরা ইতিকাফের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।’
তিনি লিখেছেন, রমজানের শেষ দশকে প্রিয় নবী (সা.) ৬টি কাজ করতেন।
১. ইতিকাফ। ২. জীবনের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ইবাদত সাধনায় রত থাকা। ৩. রাত্রি জাগরণ। ৪. পরিবারকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা। ৫. কোমর বেঁধে ইবাদতে মগ্ন হওয়া। ৬. লাইলাতুল কদর তালাশের আশায় শেষ দশ রাতে (বিশেষত বেজোড় রাতগুলোতে) ইবাদত করা।
মন্তব্য করুন