কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ প্রচারণা

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ প্রচারণা শুরু করেছে ছাত্র-জনতা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নিজের আইডিতে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে এ প্রচারণা প্রথম দেখা যায়।

আয়নাঘর, হাসিনার হত্যা, আমার ভাই শহীদ কাশেমের মৃত্যুতে প্রতিবিপ্লব। যথেষ্ট হয়েছে। এখন আর পেছনে ফেরার পথ নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ ওই পোস্টে বলেন, ‘আয়নাঘর, হাসিনার হত্যা, আমার ভাই শহীদ কাশেমের মৃত্যুতে প্রতিবিপ্লব। যথেষ্ট হয়েছে। এখন আর পেছনে ফেরার পথ নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। #banawamilegue।’

কিছুক্ষণ পর আরেক পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ পরে বিকেল ৫টার দিকে ‘#banAwamileague’ লিখে পোস্ট দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

হাসনাতের পর একই পোস্ট দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক রিফাত রশিদসহ আরও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলে ‘#banAwamileague’ পোস্ট করেছেন।

এদিকে আজ সকালে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আইয়ামে জাহিলিয়াত বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার এই আইয়ামে জাহিলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বত্র।

তিনি বলেন, এ রকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে; সেগুলো শুনলাম আজকে। আমার ধারণা ছিল, এখানে আয়নাঘর বলতে যে কয়েকটা আছে তা-ই। কিন্তু এখন শুনলাম, আয়নাঘরের ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এ আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে। এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে।

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিজয় দিবসে জামায়াত নেতার হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এ্যাবের শ্রদ্ধা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় নিউইয়র্কে দোয়া মাহফিল

একসঙ্গে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন যমজ দুই বোন 

বিজয় দিবসে যুদ্ধজাহাজে কামান চালাল শিক্ষার্থীরা

অ্যাওয়ার্ড পেলেই কেউ সুপারস্টার হয় না: শাকিল খান

আয়েশাকে ‘বডিশেমিং’ করে তোপের মুখে ভারতী

আইপিএলে সতীর্থ হিসেবে যাদের পাচ্ছেন মুস্তাফিজ

১২ কোটিতে আইপিএলে দল পেয়ে যে বার্তা দিলেন মুস্তাফিজ

চবিতে চাকসু ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

১০

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর সারায়েভো, ঢাকার অবস্থান কত

১১

রাস্তায় আঁকা গোলাম আযমের ছবি মুছে দিল দুর্বৃত্তরা

১২

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার মৃত্যু

১৩

ছেলে পালিয়ে বিয়ে করায় জীবন গেল মায়ের

১৪

ভিডিও জগতে নতুন আপডেট আনল অ্যাডোবি

১৫

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

১৬

মাউন্ট লেবাননে হামলা চালাল ইসরায়েল

১৭

আমাকে বিদায় দিতে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না : তারেক রহমান

১৮

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এলো আরও ৫ দেশ

১৯

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

২০
X