আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত হতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে শুক্রবার (০৯ মে) বাদ জুমা এ জমায়েত হবে। এসব তৎপরতার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে পোস্টটি দেন মাহফুজ আলম।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন প্রবীণ উপদেষ্টার জবাব ছিল ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাতপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কিনা। পরবর্তীতে দল হিসেবে লীগকে নিষিদ্ধ করার কয়েকটা আইনি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রাথমিক ঐকমত্য হয় যে, ফ্যাসিবাদ দূর করতে ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আমরা সেগুলো অনুসরণ করব। গতকাল (০৮ মে) বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।
মাহফুজ আলম আরও লিখেছেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।
পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্ব্বাচন হবেই।
তিনি লেখেন, আপনারা যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি, তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের সঙ্গেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!
তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সঙ্গে চলবেন।
মাহফুজ আলম আরও লিখেন, ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এ প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এ প্রজন্ম এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।
মন্তব্য করুন