ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৫ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রেডিং কাঠামোতে দেশি কোচরা, বেতন বাড়ছে দ্বিগুণ

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন কোচ। ছবি : সংগৃহীত
সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন কোচ। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় তিন বছর ধরে স্থানীয় কোচদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে গ্রেডিং পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করল দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

প্রথমবারের মতো স্থানীয় কোচদের নিয়ে এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। কয়েকদিন আগে হওয়া বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ১১তম সভায় কোচ ও ট্রেইনার নতুন বেতন কাঠামোকে অনুমোদনও দিয়েছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।

এতে করে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন-ভাতা বেড়েছে স্থানীয় কোচদের। বিসিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, এই পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে কোচদের বেতন-ভাতা এখন ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর’ (কেপিআই)-এর ওপর নির্ভর করে অটোমেটিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।

কোচদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি গ্রেড তৈরি করেছে বিসিবি। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’—গ্রেডগুলোর মধ্যে আছে আরও ৩টি করে মোট ১২টি গ্রেড পদ্ধতি। অর্থাৎ গ্রেড ‘এ’ তে থাকা কোচদের আবার তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। এভাবেই পুরো পদ্ধতিটা সাজানো হয়েছে।

এতে করে এখন থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাবেন দেশীয় কোচরা। তবে সুখবর হচ্ছে, পূর্বে জেলা পর্যায়ের কোচদের নিয়োগ দেওয়া হতো মাত্র ১৫ হাজার টাকায়।

এতে অনেকেই বিসিবির কোচ হতে অনাগ্রহ দেখাতেন, আবার অনেকেই কোচিং ছেড়ে ভিন্ন পেশায় চলে যেত। এবার তাদের সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রথমবার নিয়োগ পেলেই ২৫ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন তারা। এরপর ধীরে ধীরে পারফর্ম করে গ্রেডিংয়ে পদোন্নতি পাবেন তারা।

সম্প্রতি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধীনে কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিন সাবেক ক্রিকেটার। তাদের দুজনের বেতন ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ গ্রেডিং পদ্ধতিতে ক্যাটাগরি ‘এ’তে সুযোগ পেয়েছেন তারা।

এ ছাড়াও চুক্তিভিত্তিক কোচ হিসেবে রাজিন সালেহকে প্রতিদিন দেওয়া হবে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। তিন মাসের মেয়াদি নিয়োগ হলেও তিনিও ক্যাটাগরি ‘এ’ তে সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করবেন। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধীনে বর্তমান কাজ করা কোচের সংখ্যা প্রায় ৯৫ জন। তাদের মধ্যে

বিসিবির সেন্ট্রাল বিভাগে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন নতুন তিনজনসহ মোট ২৪ জন কোচ। বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করা কোচের সংখ্যা ৯ জন, তাদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে আছেন জেলা পর্যায়ের কয়েকজনও। দেশের মোট ৬৪ জেলার মধ্যে এখন বিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত কোচ আছেন ৬২ জন।

সিলেটের মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে নেই কোনো জেলা কোচ, এ ছাড়াও বান্দরবানসহ আরও কয়েক জায়গায় কোচ সংখ্যা নেই। পুরো সিস্টেমে থাকা সব কোচের বেতন-ভাতাকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ভাগ করে দিয়েছে বিসিবি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১০

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১১

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১২

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৩

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৪

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৫

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে সতর্ক অবস্থানে তামিম

১৬

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৭

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৮

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

১৯

পায়ের ফাঁকে বালিশ দিয়ে ঘুমালে কী হয়, জানেন কি?

২০
X