২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের যাত্রা এখন রীতিতো শঙ্কার মুখে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের ৯ রানে পরাজয়ে ঘরে ফেরার সন্নিকটে হারমানপ্রীত কৌররা। এই হারে ভারত আট বছরের মধ্যে তাদের সবচেয়ে দ্রুততম বিদায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে শেষবার বাদ পড়েছিল ভারত, তারপর তিনটি আসরে টানা সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল, যার মধ্যে একবার ফাইনালে উঠেছিল।
শারজাহ স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারত কেবল জয়ের প্রয়োজন ছিল না, বরং বড় ব্যবধানে জিততে হতো যাতে নেট রান রেট (এনআরআর) বাড়িয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করা যায়। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের অপরাজিত অর্ধশতকের মাধ্যমে ভারতের সংগ্রাম সত্ত্বেও, তারা ১৫২ রান তাড়া করতে গিয়ে ২০ ওভারে ১৪২ রানে থেমে যায়। হারমানপ্রীত এবং দীপ্তি শর্মার বাউন্ডারির ফ্লুরিতে ভারতের জয়ের আশা জাগলেও, অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ ওভারে তিন উইকেট তুলে নেওয়ার ফলে ভারতের জয় সম্ভব হয়নি।
এই পরাজয়ের পরেও ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার সামান্য আশা রয়েছে। গ্রুপ এ-তে ৪ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত এখন তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলের ওপর। সোমবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করতে পারে, তবেই ভারত সেমিফাইনালে যেতে পারে।
ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পাকিস্তানের জয় হওয়া দরকার, তবে তা সামান্য ব্যবধানে হওয়া চাই, যাতে নিউজিল্যান্ডের এনআরআর ভারতের চেয়ে কম হয়। তবে পাকিস্তান যদি বড় ব্যবধানে জয় পায়—যেমন প্রথমে ব্যাট করে ৪৭ থেকে ৬০ রানের ব্যবধানে জয় বা ১০ ওভারের মধ্যে লক্ষ্য তাড়া করে—তাহলে তারাই ভারতকে পেছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের একটি জয় ভারতের বিদায় নিশ্চিত করবে, কারণ নিউজিল্যান্ড ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে চলে যাবে। এখন ভারত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের ফলাফলের জন্য, কারণ তাদের ভাগ্য এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের হাতে।
মন্তব্য করুন