

বাংলাদেশ নারী দলের ভারত সফর—যা হওয়ার কথা ছিল চলতি ডিসেম্বরেই—শেষ মুহূর্তে ভারতীয় সরকারি অনুমোদন না মেলার কারণে থেমে গেছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ছয় ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ, আর দুই দেশের নারী ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এক দ্বিপাক্ষিক লড়াই—সবই আপাতত অপেক্ষায়। তবে অনিশ্চয়তার মাঝেও পাওয়া গেছে সম্ভাবনার আলো। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সিরিজটি নতুন করে আয়োজনের সম্ভাব্য সময় ফেব্রুয়ারি ২০২৮।
বিসিবি নিশ্চিত করেছে, বিসিসিআই একটি আনুষ্ঠানিক ইমেইলে সিরিজ স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে—এই সিরিজ বাতিল নয়, বরং ‘ফাঁকা সময়ের’ অপেক্ষায়। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার কারণে দ্রুত সেই জানালা মিলছে না বলেই দুই বছর পর সূচিতে জায়গা পেতে যাচ্ছে এটি।
২০২৬ সালজুড়ে বাংলাদেশ নারী দলের সিডিউল গাদাগাদি করা। ২০২৭ সালে ভারতের ব্যস্ততা রয়েছে নিজস্ব টুর্নামেন্ট ও এফটিপি প্রতিশ্রুতিতে। সব মিলিয়ে ২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চই দুটি দলের জন্য সবচেয়ে সম্ভাব্য সময়। একই সময়ে ভারতেরও আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই, ফলে জানালাটি দু’পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক।
আইসিসি অবশ্য প্রয়োজন হলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সূচিতে জায়গা রাখতে প্রস্তুত, তবে বর্তমান হিসাব অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ফেব্রুয়ারি ২০২৮-এর দিকেই ঝুঁকছে।
গত দুই বছরে দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলেছে—২০২৩ সালে মিরপুরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সফর। ফলে দুই দেশের নারী ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। এ অবস্থায় আকস্মিক স্থগিতাদেশ ভারতীয় বোর্ডকেও বিকল্প সিরিজ ভাবতে বাধ্য করেছে, যা তাদের এক কর্মকর্তাই স্থানীয় গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন—সরকারি অনুমোদন না মেলায় বিকল্প সিরিজ আয়োজনের আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের প্রত্যাশা, দীর্ঘ অপেক্ষার পর হলেও সিরিজটি মাঠে গড়লে দুই নারী দলের লড়াই আরও শক্ত ভিত গড়ে তুলবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—২০২৮-এর জানালা দু’দেশের বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে কি না।
মন্তব্য করুন