ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছিল কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু লাল বলের পরীক্ষায় সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চার দিনের দুই ম্যাচের সিরিজে প্রথমটি হেরে দ্বিতীয়টি ড্র করায় ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে সোহানদের।
সিলেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা নিয়ে নামে দলটি। কিন্তু প্রকৃতির চোখরাঙানির কাছে ক্রিকেট যেমন অনেক সময়ই অসহায়, মিরপুরেও ঠিক তাই হলো। টানা তিন দিন বৃষ্টির বাধায় খেলা বারবার বন্ধ হয়েছে, খেলার চেয়ে অপেক্ষাই ছিল বেশি। শেষ দিনও বড় কোনো নাটকীয়তা ঘটেনি—ড্রতেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। আর তাতেই নির্ধারিত হলো সিরিজের ভাগ্য।
প্রথম ইনিংসে নুরুল হাসান সোহানদের দল ব্যাট করে তোলে ৩৫৭ রান। ওপারে ব্যাট হাতে জবাব দেন নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের নিক কেলি। তাঁর সেঞ্চুরির ওপর ভর করে কিউইরা করে ৩৭৯ রান—২২ রানের লিড। কেলির ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান, প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন এই বাঁহাতি। দুটি ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করে সিরিজসেরা নির্বাচিত হন তিনি।
শেষ দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নিষ্প্রভ ড্রয়ের ছাপ। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুই দল সম্মত হয় খেলা আর চালিয়ে না যেতে। বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ৮৭। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৪, সাইফ হাসান করেন ১৬ রান। অপরাজিত ছিলেন জাকির হাসান (২৪) ও অমিত হাসান (২১)।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে প্রথম ইনিংসে আলো ছড়ান অফস্পিনার নাঈম হাসান, নেন ৪টি উইকেট। পেসার খালেদ আহমেদের শিকার ৩টি। কিন্তু ব্যাট-বলের লড়াইয়ের চেয়ে বৃষ্টি ও সময়ক্ষেপণ বেশি প্রভাব ফেলায় জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায় সোহানদের।
লাল বলের এই সিরিজে বেশ কিছু প্রতিভা নজর কাড়লেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিক থেকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে আরও ধারালো হওয়ার প্রয়োজন যে আছে, তা আবারও প্রমাণ হলো। বিশেষ করে ঘরের মাঠে সিরিজ হাতছাড়া—প্রশ্ন তুলে দেয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার ঘাটতি নিয়ে।
মন্তব্য করুন