দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ইনিংসের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল ২০০ পার না করলে অন্যায় হবে ভারতের। মাত্র ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৭২ রান, অভিষেক শর্মা আর শুভমান গিলের ব্যাটে ঝড় তুলেছিল। কিন্তু একবার গিল ফিরতেই পাল্টাতে থাকে ছবিটা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ প্রত্যাবর্তনে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে থামে ভারত।
অভিষেক শর্মা খেলেছেন ইনিংসের সেরা—৩৭ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যাতে ছিল ৬ চার ও ৫ ছক্কার ঝলক। তবে তার রানআউট ছিল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে কাটা পড়ে এই ওপেনার। ততক্ষণে ২০০-এর স্বপ্নে ভাসছিল ভারতীয় ডাগআউট, কিন্তু অভিষেক ফিরতেই থেমে যায় রানের বন্যা।
গিল (১৯ বলে ২৯)কে আউট করেছিলেন রিশাদই। এরপর প্রমোশন পেয়ে নামা শিবম দুবে মাত্র ২ রানে থেমে গেলে চাপে পড়ে ভারতীয় ইনিংস। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকেও (১১ বলে ৫) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান, তাতে আরও শক্ত হয় বাংলাদেশের দখল।
হার্দিক পান্ডিয়া অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন লড়াইয়ে ফেরানোর। ২৯ বলে ৩৮ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে দলকে টেনে তুলেছিলেন। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকায় বড় স্কোর দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি। শেষ ওভারের শেষ বলে হার্দিককেও ফেরান সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন ছিলেন সেরা—৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট, সঙ্গে অভিষেকের রানআউটে সরাসরি অবদান। মুস্তাফিজ দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু, আর তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফউদ্দিনও নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
শুরুটা আগ্রাসী হলেও মাঝের ওভারে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারত একেবারেই ছন্দ হারায়। ২০০ রানের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা শেষমেশ ১৬৮ রানে আটকে গেল। এখন দেখার বিষয়—বাংলাদেশি ব্যাটাররা কি এই লক্ষ্য তাড়া করে বড় জয় তুলে নিতে পারেন?
মন্তব্য করুন