আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এক ইনিংসে যেন পুরো নাটক! দুর্দান্ত সূচনা, ভয়াবহ ধস, আর শেষে মোহাম্মদ নবীর আগুনে ব্যাটিং— সব মিলিয়ে এক রোলার কোস্টার যাত্রা উপহার দিল আফগানিস্তান।
প্রথমে আফগান ওপেনারদের হাত ধরে জমাট ভিত্তি পায় দল। রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪২) ও ইব্রাহিম জাদরান (৯৫) গড়ে তোলেন ৯৯ রানের জুটি। এক সময় স্কোরবোর্ডে ঝলমল করছিল ১৭৩/১— সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সাইফ হাসান। তার ঘূর্ণির ঘূর্ণিপাকে মুহূর্তেই গুটিয়ে যায় আফগান টপ অর্ডার। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় ৪ উইকেট!
বাংলাদেশের বোলাররা একে একে সবাই তালিকায় নাম লেখান— তানভির ইসলাম, মেহেদি মিরাজ, হাসান মাহমুদ— সবাই ছিলেন তাল মিলিয়ে। কিন্তু শেষটা লিখলেন মোহাম্মদ নবী, একদম নিজের মতো করে।
৪৯তম ওভারের মাঝপথে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন নাহিদ রানা। সেই ফাঁকেই যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন নবী। শেষ ১০ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চার মেরে ঝড় তোলেন তিনি! ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে একাই ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ২৯৩/৯-এ। যা এক সময় ২৫০-তেও পৌঁছাবে কি না, সে নিয়েও সন্দেহ ছিল!
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফ হাসান ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর— ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। মিরাজ নিয়েছেন ১টি, তানভিরের ঝুলিতে ২ উইকেট।
মিড ইনিংস বিরতিতে গুরবাজ জানালেন, উইকেট সহজ নয় ব্যাটিংয়ের জন্য। তবে নবীর ঝড়ো ফিনিশে আফগানরা এখন আত্মবিশ্বাসী— তাদের চোখে এই রান ‘অ্যাবাভ পার’।
এখন দেখার পালা, নবীর তাণ্ডবের জবাব দিতে পারে কি না বাংলাদেশের ব্যাটাররা! নাকি হোয়াইটওয়াশ হয়েই বাংলাদেশে ফিরতে হয় মিরাজদের।
মন্তব্য করুন