

দোহায় রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ভারত ‘এ’ ও পাকিস্তান ‘শাহিনস’-এর ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই চোখে পড়ল পুরোনো এক দৃশ্য—জাতীয় সঙ্গীতের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা পাশাপাশি দাঁড়ালেন ঠিকই, কিন্তু হাত মেলালেন না। সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে যেটি ছিল সবচেয়ে আলোচিত ‘নন-ক্রিকেটিং’ মুহূর্তগুলোর একটি, সেই ট্রেন্ডই এবার তরুণ দলগুলোর মধ্যেও গড়াল।
এশিয়া কাপে ভারতীয় সিনিয়র দল তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গিয়েছিল—টসের সময়ও নয়, আবার ম্যাচ শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক সৌজন্যও নয়। এবার দোহায় একই দৃশ্য দেখা যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে—দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক কি আরও জটিলতার দিকে এগোচ্ছে?
রোববার পাকিস্তান ‘শাহিনস’ টস জিতে বোলিং নেওয়ার পর ম্যাচ স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয়, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে যায় হাত না মেলানোর বিষয়টি।
এশিয়া কাপে ভারতের করমর্দন এড়ানোর আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা ছিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার শিকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সংহতি জানানো। তবে টুর্নামেন্ট যত এগোচ্ছিল, পরিস্থিতি ততই রাজনৈতিক রূপ নিচ্ছিল। ফাইনালে ভারত পাঁচ উইকেটে জিতলেও ম্যাচ-পরবর্তী পরিবেশ ছিল উত্তপ্ত—এমনকি ট্রফি প্রদান বিলম্বিত হয়েছিল এক ঘণ্টারও বেশি সময়, কারণ পিসিবি প্রধান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।
এ রেশ যেন শেষই হচ্ছে না। রাইজিং স্টারসের ম্যাচে ঘটনার পুনরাবৃত্তির পর ক্রিকেট মহলে আবার আলোচনার ঢেউ—দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই, এখন কি তৃতীয় টুর্নামেন্টেও সম্পর্কের বরফ আরও জমাট বাধছে?
এশিয়া অঞ্চলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন নয়, তবে এবার প্রতীকী বার্তাই বেশি জোরালো
হাত মেলানো বা না-মেলানো হয়তো ম্যাচের স্কোরবোর্ডে প্রভাব ফেলে না, কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এর প্রতীকী তাৎপর্য বড়। তরুণ দলগুলো পর্যন্ত এই নীতি অনুসরণ করায় বোঝা যাচ্ছে, সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রিকেটের প্রতিটি স্তরেই ছড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন