বাংলাদেশ দলের জন্য আজকের ম্যাচটি সিরিজ বাঁচানোর। সিরিজে টিকে থাকার এই ম্যাচে নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং সহায়ক পিচ আর বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ে রান তাড়ায় বেশ ভালো অবস্থানে কিউইরা।
বর্তমান ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৯২ রানের টার্গেট খুব বড় কিছু না তবে তবুও এই রান তাড়ায় ভালো শুরুর দরকার ছিল কিউইদের। সেই ভালো শুরুটাই এনে দিলেন দুই কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র এবং উইল ইয়াং। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং এবং বাংলাদেশের পেসার লাইন-লেংথ ভুলে এলোমেলো বোলিংয়ে সহজেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে নিউজিল্যান্ড। তিন পেসার শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব আর হাসান মাহমুদের কেউই সুবিধা করতে পারছেন না কিউই ব্যাটারদের সামনে।
শুরুতে কিছুটা সাবধানী খেললেও যতই সময় গড়িয়েছে টাইগার পেসারদের ওপর ততই চড়াও হন ইয়াং এবং রাচিন। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়েছিলেন ইয়াং। সেটাই ধরে রাখলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও। আর রাচিন তো বিশ্বকাপ থেকেই আছেন দুরন্ত ফর্মে।
পাওয়ারপ্লের দশ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৬১। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১১তম ওভারে এসে ভেঙেছে এই দুজনের জুটি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আউট হন রাচিন। হাসান মাহমুদের বলে রিশাদের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরতে হয় রাচিনকে।
তবে রাচিন যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশকে হতাশায় ডোবাতে থাকেন ইয়াং ও নিকোলাস। তাদের মধ্যকার ১২৮ রানের জুটি কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশকে। বোলারদের বাজে বোলিং ও ব্যাটিং পিচ মিলে সহজেই লক্ষে পৌঁছাতে থাকেন তারা। দুই ব্যাটার নিজেদের অর্ধশতকও তুলে নিয়েছেন এরই মধ্যে।
যখন মনে হচ্ছিল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতক হাকাতে যাচ্ছেন ইয়াং তখনই হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত এক বলে তাকেই ফিরতি ক্যাচ দেন কিউই এই ওপেনার। অবশ্য ম্যাচের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ এখনো স্বাগতিকদের হাতেই । ম্যাচে ফিরতে হলে বাংলাদেশের অলৌকিক কিছুই করতে হবে।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০৯ রান।
মন্তব্য করুন