আগামী ৬ জানুয়ারি কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ে। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ঘোষিত ১৫ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ক্রেইগ আরভিনকে। তবে অধিনায়ক হিসেবেই ফিরেছেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা পেয়েছেন আরভিন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনজুরির কারণে ছিলেন না ক্রেইগ আরভিন। তবে চোট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অধিনায়ক হয়েই জায়গা করে নিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। আরভিন ফিরলেও ইনজুরির কারণে লঙ্কান সফর থেকে ছিটকে গেছেন আরেক অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শেন উইলিয়ামস। আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন তিনি।
আরভিনের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী অফস্পিনার তাপিওয়া মুফাদজাকে। দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তিনি। পেস অ্যাটাকের শক্তি বাড়াতে স্কোয়াডে ভেড়ানো হয়েছে ফারাজ আকরামকেও।
লঙ্কান সিরিজের জন্য ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন আরও ৪ ক্রিকেটার। তারা হলেন তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, তিনশে কামুনহুকামওয়ে, মিল্টন শুম্বা এবং টনি মুনিয়ঙ্গা। কিন্তু সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে তিনটি পরিবর্তন রয়েছে। কাইতানো, মুফাদজা এবং আকরামের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন ব্রায়ান বেনেট, আইন্সলে এনডলোভু এবং কার্ল মুম্বা।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে শেষবার ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। এ ছাড়া এবারই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে লঙ্কানয় গিয়েছে আফ্রিকান দেশটি। ৬, ৮, ও ১১ জানুয়ারি তিনটি ওয়ানডে এবং ১৪, ১৬ ও ১৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো খেলবে দেশ দুটি। সব ম্যাচ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ানডে স্কোয়াড:
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, ফারাজ আকরাম, রায়ান বার্ল, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, তিনশে কামুনহুকামওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তাপিওয়া মুফাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারভা এবং মিল্টন শুম্বা।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, তিনশে কামুনহুকামওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তাপিওয়া মুফাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারভা, ব্রায়ান বেনেট, আইন্সলে এনডলোভু এবং কার্ল মুম্বা।
মন্তব্য করুন