টি-টোয়েন্টির ভিড়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে। এবার সম্ভবত ওয়ানডে ক্রিকেটের কফিনে শেষ পেরেকও ঠুকে গেল। কারণ আইসিসির কাছে ওয়ানডে ক্রিকেট কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডে ম্যাচ কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসি। যার জন্য বিশ্বকাপের বছর ছাড়া বাকি সময়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ করারও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এমসিসি কমিটির এক বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমসিসির বর্তমান সভাপতি মাইক গ্যাটিং বলেছেন, ‘সময় এসেছে ক্রিকেটের অনেক কিছুই নতুনভাবে গড়ে তোলার।’
এমসিসি কমিটির সেই বৈঠকে ছিলেন কমিটির অন্য সদস্যরাও। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুমার সাঙ্গাকারা, সৌরভ গাঙ্গুলী, হিদার নাইট, রমিজ রাজা, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ইয়ন মরগান ও ঝুলন গোস্বামী।
টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা বাড়ায় ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেট আবেদন হারিয়েছে অনেকটা। ক্রিকেটের জনপ্রিয় আর ঐতিহ্যবাহী দুই ফরম্যাট টিকিয়ে রাখতেই ওয়ানডে ম্যাচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমসিসি।
বৈঠকের পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রিকেট কমিটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাইরে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। এমসিসি ২০২৭ সালের পর ছেলেদের ওয়ানডে ক্রিকেট কমিয়ে নিয়ে আসার সুপারিশ করছে।
দিনকে দিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ক্রিকেটারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ওয়ানডে আর টেস্ট খেলার আগ্রহ হারাচ্ছে। ওয়ানডে আর টেস্ট থেকে কম বয়সেই অবসরে চলে যাচ্ছেন অনেক ক্রিকেটার।
তাই ওয়ানডে আর টেস্টের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতেই এমসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ কমিয়ে আনার ব্যাপারে কথা বলেছিলেন সাবেক অনেক ক্রিকেটাররাও।
মন্তব্য করুন