সিরিজ জয়ের মিশনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ওভারে লিটনকে হারালেও সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের সেই স্বপ্নে বাঁধা হয়ে দাড়ান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার একার ৪ উইকেট ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশে অবশ্য তাওহীদ হৃদয়ের হার না মানা ইনিংসে বেশ চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাড় করিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) চটগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে তাওহীদ হৃদয়ের অপরাজিত ৯৬ রানে ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যর্থ লিটন। সফরকারীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
শুরুতে লিটনকে হারালেও সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্তর দৃঢ়তায় ম্যাচে ভালো ভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শান্ত ১৩তম ওভারে ৪০ রানে ফিরলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। মনে হচ্ছিল ভালো কিছুই হবে তবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বেশিক্ষণ সেটি স্থায়ী হতে দেননি।
তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে বড় এক জুটির দিকেই এগোচ্ছিলেন সৌম্য। ৫৫ রানও চলে আসে দুজনের সম্মিলিত ব্যাট থেকে। ২২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। ৬৬ বলে ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হন সৌম্য। বাউন্ডারিতে তার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন দিলশান মাদুশঙ্কা।
একই ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হন রিয়াদ। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই হাসারাঙ্গাকে স্টেপ আউট করে মারতে যান তিনি। স্ট্যাম্পিং হয়ে শূন্য রানে ফিরতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে।
পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ধীরেসুস্থে এগোতে থাকা মুশফিকুর রহিমকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। এই স্পিনারের লেগ স্পিন বলে সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। ২৮ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজকেও বোল্ড করেন হাসারাঙ্গা। এই স্পিন জাদুকরের বল সামনে এসে খেলতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। ১২ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার।
সপ্তম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। বিপদ কিছুটা সামাল দেয়ার পর তানজিম ফেরেন কুমারার বলে ক্যাচ হয়ে। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তাসকিন আহমেদ এবং হৃদয়। তাতে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে এদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তাওহীদ হৃদয়। ১০২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৬ রান করেন তিনি। তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
মন্তব্য করুন