

চট্টগ্রামের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ভেঙে পড়ল শুরুতেই। একের পর এক ব্যাটারের ফিরতি আর ড্রেসিংরুমের লালবাতি—সব মিলিয়ে ম্যাচের রূপটা যেন প্রথম পাওয়ার প্লেতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাওহীদ হৃদয় একাই লড়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত, করেছেন ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ ঝলমলে ৮৩ রান। কিন্তু বাংলাদেশকে বাঁচানোর মতো দৃঢ়তা আর কোথাও পাওয়া গেল না। ফল—১ম টি–টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৯ রানের বড় হার।
১৮২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে হারায় ৪ উইকেট, রান মাত্র ২০। তানজিদ, লিটন, পারভেজ ও সাইফ ফিরেছেন তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ার আগেই। দুই প্রান্তে আয়ারল্যান্ডের পেস–স্পিনের বৈচিত্র্যে ব্যাটাররা একে একে ভুল শট খেলেছেন, ম্যাচের গতিপথও পাল্টে গেছে সেখানেই।
মাঝে জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয় পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ে খানিকটা সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। হৃদয়ের ব্যাটে আসে দুটি ছক্কা, জাকের মারেন একটি। কিন্তু সেটাও স্থায়ী হলো না। ১২তম ওভারেই জাকের ফিরলে ধস আবার শুরু।
সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ১৩তম ওভারে—বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিস এক ওভারে নেন তিন উইকেট (তানজিম, রিশাদ, নাসুম)। তাতে বাংলাদেশ ৭৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি ম্যাচের বাইরে চলে যায়।
শেষদিকে শরীফুলের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা থাকলেও তাতে ব্যবধান কমেছে শুধু সামান্য। ১২ বল বাকি থাকতে নবম উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে অপরাজিত হৃদয় একাই লড়ে শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৮৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু তার এই পরিণত পারফরম্যান্সও ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলকে।
এর আগে আইরিশদের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন হ্যারি টেক্টর। ৫টি ছক্কায় ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৯ রানে দলের ইনিংসকে টেনে তুলেছেন তিনি। বড় ভাই টিম টেক্টরের ৩২, ক্যাম্ফারের ২৪ ও স্টার্লিংয়ের ২১ রানে আয়ারল্যান্ড সহজেই পৌঁছে যায় ১৮১–এ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তানজিম নিয়েছেন ২ উইকেট, তবে দিয়েছেন ৪১ রান।
মন্তব্য করুন