ক্রিকেট খেলতে বা অনুশীলন করতে এর আগে কখনোই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসেননি বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
তবে আজ শনিবার ( ২০ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো অনুশীলন করতে দেশের ক্রিকেটের একসময়ের তীর্থস্থান এ স্টেডিয়ামে পা রাখেন জাতীয় দলের রাডারের থাকা ক্রিকেটাররা।
৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে দল। মূলত সেই সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করতেই এই স্টেডিয়ামে আসা শান্ত-মিরাজ-লিটনদের।
এই জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে বিদায় নেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর থেকে দেশের ক্রিকেটের স্থায়ী ঠিকানা মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
তাই তো নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে দেশের ক্রিকেটের আতুঁর ঘর খ্যাত এই স্টেডিয়ামের ঘাস-মাটি অচেনা মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য সরকারদের কাছে। সেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগে ক্রিকেটার প্রস্তুতির প্রথম পর্বের ভেন্যু হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যদিও অনেকটা বাধ্য হয়েই এই স্টেডিয়ামকে বেছে নিতে হয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থঅকে। কারণ দীর্ঘদিন খেলা না হওয়ায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস বেশ বড় হয়েছে। এ ছাড়া মাঠও অনেক ভারী।
স্বাভাবিকভাবে সেখানে দৌড়ানো ক্রিকেটারদের জন্য কষ্টকর তো বটেই, শঙ্কা ছিল ইনজুরিরও। তাই নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাককে বেছে নিয়েছে বিসিবি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। সেই সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নতুন ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের রাডারে থাকা ৩৫ ক্রিকেটার। তবে এতে অংশ নেননি সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদ।
দেশে না থাকায় ফিটনেস টেস্টে নেই সাকিব। প্রিমিয়ার লিগে টানা ম্যাচ খেলায় ঝুঁকি নেননি তাসকিন। আর ইনজুরির কারণে ছিলেন না সৌম্য। এদিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন না বলে ফিটনেস টেস্ট দেননি তামিম।
যে কোনো সিরিজের আগে এ ধরণের টেস্ট ক্রিকেটারদের জন্য নিয়মিত ব্যাপার। তবে এতোদিন এ ধরণের ফিটনেস টেস্ট হয়েছে মিরপুরে ঘাসের মাঠে। তবে বাংলাদেশ দলের নতুন ট্রেইনার ন্যাথান কিলি, চাওয়া ছিল এমন ট্র্যাক। যেখানে স্প্রিন্ট দেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বুঝতে চেয়েছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির প্রথম পর্ব শেষ করে, আবারও মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে ফিরে যান ক্রিকেটাররা। সেখানে হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ তথা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বাকি অংশ।
মন্তব্য করুন