এবারের আইপিএলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং ইউনিট বলতে গেলে পুরোপুরি নির্ভর ছিল দলের দুই তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানার বোলিংয়ের ওপর। ব্যাটাররা পারফর্ম না করলেও ফিজ-পাথিরানার বোলিংয়ে ভর করে অনেক ম্যাচই জিতেছে হলুদ জার্সিধারীরা। এই দুই তারকার একজনও স্কোয়াডে নেই তার ওপর প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব যাদের কাছে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে ধোনি-জাদেজারা। আজকের ম্যাচেও লড়াইয়ের মতো পুঁজি গড়তে পারেনি তারা। তবে তবুও জাদেজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ঠিকই ম্যাচ জিতে নিয়েছে চেন্নাই।
রোববার (৫ মে) ধর্মশালায় আইপিএলের ৫৩তম ম্যাচে ধোনিদের দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ১৩৯ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন চেন্নাইয়ের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
টানা দশম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও ব্যর্থ ওপেনার অজিঙ্কা রাহানে। চেন্নাইয়ের অন্যান্য ব্যাটাররাও অবশ্য খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি এই ম্যাচে। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ২১ বলে ৩২, ড্যারিল মিচেল ১৯ বলে ৩০ রান ও জাদেজার ২৬ বলে ৪৩ রান বাদে বলার মতো রান ছিল না আর কারও। যার ফলে দলকে ঠিক সেইভাবে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে পারেননি তারা। দলীয় ১০১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দল ১৬৭ রান পর্যন্ত যায় জাদেজার ব্যাটে চড়েই। পাঞ্জাবের পক্ষে দারুণ বোলিংয়ে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জাদেজা। তারকা পেসারদের হারিয়ে এমনিতেও দুর্বল চেন্নাইয়ের বোলিং ইউনিট। মোস্তাফিজুর রহমান ফিরে এসেছেন বাংলাদেশে। ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন মাথিশা পাথিরানা। দুই প্রধান অস্ত্রের সঙ্গে ইনজুরির কারণে নেই দীপক চাহারও। তবে তাদের অভাব বুঝতে দেননি জাদেজা।
অবশ্য দলকে ভালো শুরুটা এনে দেন তুষার দেশপান্ডে। লক্ষ্নৌর বিধ্বংসী দুই ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো (৬) ও রাইলি রুশোকে (০) ফেরান শুরুতেই। তারপর বাকি কাজটা সারেন জাদেজা। প্রভসিমরান সিং, স্যাম কারান ও আশুতোষ শর্মাকে ফিরিয়ে পাঞ্জাবের ম্যাচ জয়ের আশার ইতি টানেন তিনি। তাতে রান বন্যার আসরে ১৬৭ রান নিয়েও পাঞ্জাবকে ২৮ রানে হারায় চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন প্রভসিমরান।
এদিকে এ জয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হটিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে চেন্নাই। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১২। যদিও ১০ ম্যাচে সমান পয়েন্ট হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌর। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা।
মন্তব্য করুন