নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগে ব্যাটিং করে স্টার্ক, জাম্পাদের সামনে ঠিক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না টাইগার ব্যাটাররা। তবে অধিনায়ক শান্তর রানে ফেরা ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ৪০ রানে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪০ রানে। অজি পেসার প্যাট কামিন্স আবার করেছেন হ্যাটট্রিক।
শুক্রবার (২১ জুন) অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। বরাবরের মতো এই ম্যাচেও ওপেনিং বিপর্যয়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ডাক মারেন ওপেনার তানজিদ তামিম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ বল খেলে ০ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম। মিচেল স্টার্কের নিচু হয়ে আসা বল ব্যাট দিয়ে আটকে দিতে ব্যর্থ তামিম হারিয়েছেন স্টাম্প।
শূন্য রানে উইকেট হারানো টাইগাররা তখন তাকিয়ে তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার লিটন দাসের দিকে। তবে আজকের ম্যাচে অফ ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই ওপেনিং ব্যাটার যেন ধীরে চলো নীতিতে নেমেছিলেন। নিজের রানের খাতা খুলতে সময় নেন ১০ বল। লিটনের ইনিংসের প্রথম ১২ বলের মধ্যে ১১ টিই ডট। তবে আরেক দিক থেকে স্টার্ক-হ্যাজেলউডদের সামলে অধিনায়ক শান্ত দলের রানের চাকা সচল রাখেন।
ডট বলের মাধ্যমে ইনিংস শুরু করেও তা বড় করতে পারেননি লিটন। অ্যাডাম জাম্পার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে মিডল স্টাম্প হারান লিটন। টেস্ট সুলভ ইনিংস খেলে তিনি ১৬ রান করেন ২৫ বল খেলে। ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনলেও দুই রানের বেশি করতে পারেননি রিশাদ হোসেন।
১ ছয়, ৫ চারে ৩৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে জাম্পার ২য় শিকার হয়ে ফিরলেন শান্ত। এরপর মার্কাস স্টোইনিস অ্যাকশনে আসতেই ফিরতি ক্যাচে সাকিব হারিয়েছেন উইকেট। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০ বলে তার ব্যাটে রান ৮। দলীয় ১০৩ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
এদিন দ্রুত বিদায় নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মাত্র ২ রান করেন তিনি। একাদশে সুযোগ পাওয়া শেখ মেহেদী হয়েছেন গোল্ডেন ডাক। কামিন্স নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ দুই ডেলিভারিতে ফেরান রিয়াদ ও মেহেদীকে আর শেষ ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন প্যাট কামিন্স।
অবশ্য আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন হৃদয়। তিনি ২৮ বলে করেন ৪০ রান। শেষ ওভারে তাসকিন ও তানজিম সাকিবের দ্রুত গতির রানিং বিটউইন দা উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৪০ পেরোয়।
অজিদের পক্ষে কামিন্স ২৯ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন