মধুর প্রতিশোধই মনে হয় একেই বলে, মাত্র দুই বছর আগেই সর্বশেষ আসরে ইংল্যান্ডের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল ভারতকে আর আজ দুই বছর পর সেই ম্যাচের প্রতিশোধ নিল ভারত।
১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দিল না অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবরা। এই দুইজনের স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে জস বাটলারদের শিরোপা ধরে রাখার মিশন শেষ হলো এখানেই। আর এতে ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ভারত।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৬৮ রানে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। অক্ষর ও কুলদীপ নেন ৩টি করে উইকেট।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে কোন আবহাওয়ার বাগড়া না থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাগড়া দেওয়ার চেষ্টায় থাকে বৃষ্টি। তবে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির সহায়তা ছাড়াই ম্যাচ জিতে নেয় রোহিত শর্মার দল।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড অবশ্য রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভার ভালোই খেলে। তবে অক্ষর প্যাটেলের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বাঁধে বিপত্তি। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি জস বাটলারের দল।
ইংলিশরা নিজেদের পঞ্চম উইকেট হারায় দলীয় রান ৫০ হওয়ার আগেই। এরপর অবশ্য আর দাঁড়াতেই পারেনি তারা ভারতীয় বোলারদের সামনে।
বাটলার ২৩, হ্যারি ব্রুক ২৫, লিয়াম লিভিংস্টোন ১১ আর জফরা আর্চারের ২১ রানের ইনিংস ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ২৩ রান খরচায় বাটলার, মঈন আলী ও জনি বেয়ারস্টোর উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অক্ষর। ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। এছাড়া ১২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন জাসপ্রীত বুমরাহ।
দাপুটে এই জয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট কাটলো টিম ইন্ডিয়া। সর্বশেষ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের আসরে ফাইনাল খেলে তারা। তবে সেবার শ্রীলঙ্কার কাছে হারে তারা।
এবার দেখার বিষয় ২৯ জুনের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের ভাগ্য পরিবর্তন হবে কি না।
এর আগে অবশ্য টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে ভারত। ইংলিশদের পক্ষে ৩৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার ক্রিস জর্ডান।
মন্তব্য করুন