অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নবম ফিফা নারী বিশ্বকাপ। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো ৩২টি দেশ অংশ নিয়েছে। ২০১৯ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ২৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল। তবে নারীদের বৈশ্বিক ফুটবল আসরে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে এবার গ্রুপ পর্বে দর্শকদের উপস্থিতির প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।
ফিফার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ৪৮টি ম্যাচ মাঠে গড়ায়। মোট ১২ লাখ ২২ হাজার ৮৩৯ জন দর্শক স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি খেলা উপভোগ করেন। যা ২০১৯ ফ্রান্স বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৪৮ ম্যাচের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এবারের আসরে ম্যাচপ্রতি গড়ে ২৫ হাজারেরও বেশি দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিল। তবে নিউজিল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় দর্শকদের উপস্থিতি বেশি ছিল।
নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে অনুষ্ঠিত কোস্টারিকা-জাপান ম্যাচে ৭ হাজারের কম দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিল। এ ছাড়াও ম্যাচটিতে সবচেয়ে বেশি আসন খালি ছিল। তবে নেদারল্যান্ডস-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ টিভিতে উপভোগ করেছে বলে জানায় ফিফা।
নারী ফুটবল বিশ্বকাপের এই আসরে এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিকিট বিক্রির লক্ষ্য ছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার, যা গ্রুপ পর্বেই অতিক্রম করেছে ফিফা।
ফিফা নারী ফুটবল প্রধান সারাই বারেমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ফাইনাল পর্যন্ত ১.৯ মিলিয়ন দর্শক সরাসরি স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখবেন বলে আমি আত্মবিশ্বাসী। এখন পর্যন্ত চমৎকারভাবে এগিয়ে চলছে প্রতিযোগিতাটি। অনেক দিক দিয়েই আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে এবারের মেয়েদের বিশ্বকাপ। তাছাড়া পুরা পৃথিবীজুড়ে টেলিভিশন সম্প্রচার থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।’
সারো বারেমান আরও বলেন, ‘এবারে বিশ্বকাপে প্রমাণিত হয়েছে নারী ফুটবল অনেকদুর এগিয়েছে। অনেক ফুটবল পরাশক্তিরা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। জার্মানি, ইতালি, ব্রাজিল ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডার মতো দেশ নক আউট পর্বে উঠতে পারেনি। তবে মরক্কো, নাইজেরিয়া, জ্যামাইকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের মেয়েরা শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন