আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার) যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড রক স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও মিশরের আল আহলি। তবে ম্যাচ শুরুর আগেই আলোচনার কেন্দ্রে নিরাপত্তা ইস্যু।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট (DHS) জানিয়েছে, বর্ডার পেট্রোল (CBP) এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ICE) মাঠে উপস্থিত থাকবে নিরাপত্তার কাজে। যদিও CBP–এর করা একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট পরে মুছে ফেলা হয়—যেখানে লেখা ছিল, তারা ‘পূর্ণ প্রস্তুতিতে মাঠে থাকবে ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে নিরাপত্তা দিতে।’
দ্য অ্যাথলিটেকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পোস্টটি মুছে ফেলার পেছনে ফিফার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তির ভূমিকা ছিল। উদ্বেগের জায়গা মূলত ICE–এর উপস্থিতি নিয়ে। যেহেতু ICE সাধারণত অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেফতারে যুক্ত থাকে, তাই অনেক দর্শকই উদ্বিগ্ন হতে পারেন।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো অবশ্য সরাসরি বলেই দিয়েছেন, ‘আমি নিরাপত্তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। আমাদের মূল অগ্রাধিকার হচ্ছে—সব দর্শকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।’
তবে বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন সংস্থার প্রকাশ্য উপস্থিতি মার্কিন অভিবাসী জনগণের মধ্যে ভীতি তৈরি করতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে ম্যাচে দর্শক উপস্থিতির উপরও।
ফিফা ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে নিরাপত্তা ও পরিবেশ ইস্যুতে একাধিক বৈঠক ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনফান্তিনো এক মাস আগেই বলেছিলেন, ‘বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমেরিকা।’ কিন্তু ক্লাব বিশ্বকাপের মতো ছোট টুর্নামেন্টে এমন কড়াকড়ি কি বড় আসরের পূর্বাভাস?
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা, যেখানে বিশ্বের ৩২টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে, সেটিই হয়তো হয়ে উঠবে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অন্যতম পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন