ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির ইউক্রেনীয় উইঙ্গার মিখাইলো মুদ্রিক বড়সড় ঝুঁকির মুখে। ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) পক্ষ থেকে ডোপিং আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে, যার ফলে সর্বোচ্চ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছে তার মাথার ওপর।
২৪ বছর বয়সী মুদ্রিককে এর আগের মৌসুমের ডিসেম্বর মাসে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পারফরম্যান্স বৃদ্ধিকারী নিষিদ্ধ উপাদান—‘মেলডোনিয়াম’- তার রক্তে পাওয়া যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত আসে। এরপর থেকেই অপেক্ষা চলছিল ‘বি’ স্যাম্পলের রিপোর্টের, যা সম্প্রতি প্রকাশ পেলে অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করে এফএ।
বুধবার এফএ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, মিখাইলো মুদ্রিকের বিরুদ্ধে ডোপিং বিরোধী নীতিমালার ধারা ৩ এবং ৪ অনুসারে নিষিদ্ধ পদার্থের উপস্থিতি ও ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত চলমান থাকায় এর বেশি কিছু মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
চেলসি ক্লাব অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। গাইডলাইন অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হলে খেলোয়াড়কে চার বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়—যদি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন ভঙ্গ না করেন তবুও।
ইএসপিএনের সূত্র জানায়, সন্দেহভাজন ওষুধটি সম্ভবত যুক্তরাজ্যের বাইরে গ্রহণ করেছিলেন মুদ্রিক। তবে শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন এই উইঙ্গার।
ডিসেম্বরে তার সাময়িক নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে মুদ্রিক লেখেন, ‘এই ঘটনা আমার জন্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আমি কখনোই জেনে-শুনে কোনো নিষিদ্ধ পদার্থ গ্রহণ করিনি বা নিয়ম ভাঙিনি। বিষয়টি নিয়ে আমার টিমের সঙ্গে কাজ করছি। আমি জানি আমি কিছু ভুল করিনি এবং দ্রুত মাঠে ফিরতে আশাবাদী।’
তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়টি গোপনীয়তা বজায় রেখে পরিচালিত হচ্ছে। তবে চেলসি এবং মুদ্রিকের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি দুশ্চিন্তার সময়। এখন দেখার বিষয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী আসে এবং ফুটবল বিশ্বে উদীয়মান এই তরুণ তারকা কতদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান।
মন্তব্য করুন