মাত্র ১১ দিন আগে প্রেমিকা রুতে কারদোসোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দিয়োগো জোতা। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতে তুলে ধরেছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে। তিন সন্তানের হাসিমুখে ভরা ছিল তার নতুন জীবনের প্রতিটি দিন। কিন্তু বাস্তবতা কতটা নির্মম হতে পারে, তা বুঝিয়ে দিল স্পেনের একটি সড়ক—যেখানে মাত্র ২৮ বছর বয়সে প্রাণ হারালেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড এবং তার ভাই আন্দ্রে সিলভা।
জোতার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব লিভারপুল, পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো এবং পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (FPF)। স্পেনের সিভিল গার্ড জানায়, ভোরবেলায় গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন দুই ভাই।
লিভারপুলের হৃদয়ভাঙা বার্তা
এক বিবৃতিতে লিভারপুল ক্লাব জানায়,
জোতার মৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ। তার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ এবং ক্লাবের সবাইকে আমরা একান্ত সময় দিতে চাই এই শোক সামলানোর জন্য। অনুগ্রহ করে তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান জানান।
অ্যানফিল্ডে জোতার স্মরণে ভক্তরা ফুল, জার্সি, ও শোকবার্তা রেখে যাচ্ছেন। লিভারপুল টাউন হলের পতাকা নামানো হয়েছে অর্ধনমিত করে।
রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
জাতীয় দলের সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো লিখেছেন—
এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমরা তো কিছুদিন আগেই একসঙ্গে ছিলাম। তোমার বিয়ে হলো, নতুন জীবন শুরু করেছিলে। তোমার পরিবার, স্ত্রী, সন্তানদের জন্য আমার সমবেদনা ও শক্তি রইল। আমি জানি, তুমি সবসময় তাদের সঙ্গে থাকবে। শান্তিতে ঘুমাও দিয়োগো ও আন্দ্রে। আমরা সবাই তোমাদের মিস করব।
শোকবার্তায় ভেসে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম
আমি বাকরুদ্ধ। এর পেছনে হয়তো কোনো বড় উদ্দেশ্য আছে, কিন্তু আমি তা দেখতে পাচ্ছি না। দিয়োগো শুধু একজন দুর্দান্ত ফুটবলারই নয়, ছিলেন একজন আশ্চর্যবান্ধব, ভালোবাসায় ভরা স্বামী ও বাবা। তোমাকে আমরা ভীষণ মিস করব।
বিধ্বংসী খবর। বিশেষ করে রুতে এবং তাদের তিন সন্তানের কথা ভেবে মনটা ভার হয়ে আসছে।
মন ভেঙে গেল। জোতা ও আন্দ্রের পরিবারের জন্য ভালোবাসা ও প্রার্থনা রইল।
আজকের এই হৃদয়বিদারক খবরে লিভারপুল এবং জোতার প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।
আমরা হৃদয়ভাঙা। জোতা ছিলেন ভক্তদের প্রিয়, সতীর্থদের প্রিয় আর ক্লাবের প্রাণ। তার রেখে যাওয়া স্মৃতি অমর হয়ে থাকবে।
ফুটবল বিশ্ব একাত্ম
ফুটবল খেলার বাইরেও ছুঁয়েছে এই শোক
এই সময় তার পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য আমার প্রার্থনা। সৃষ্টিকর্তা তাদের শক্তি দিন। YNWA JOTA!! (You'll Never Walk Alone)
চিরবিদায়, চ্যাম্পিয়ন
দিয়োগো জোতা হয়তো আর নেই, কিন্তু তার রেখে যাওয়া গোল, উদযাপন, আর মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার স্পর্শ মুছে যাবে না কখনও।
মন্তব্য করুন