লা লিগার নতুন মৌসুম দাপটের সাথেই শুরু করল বার্সেলোনা। শনিবার রাতে মায়োর্কার মাঠে ৩-০ গোলের জয়ে শিরোপা রক্ষার মিশন শুরু করেছে কাতালানরা। তবে কোচ হান্সি ফ্লিক ম্যাচের ফলাফলে সন্তুষ্ট হলেও দলের খেলার মানে খুশি নন।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই লামিন ইয়ামালের ক্রসে হেডে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। এরপরই আসে বিতর্কিত মুহূর্ত। ২৩ মিনিটে মায়োর্কার ডিফেন্ডার আন্তোনিও রাইয়ো মাথায় বল লেগে পড়ে গেলে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন খেলা থেমে গেছে। কিন্তু রেফারি বাঁশি না বাজানোয় খেলা চলতে থাকে এবং সেই ফাঁকেই গোল করে বসেন ফেরান তোরেস। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
প্রথমার্ধের মাঝপথেই মায়োর্কা আরও বিপদে পড়ে। মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন—মোরলানেস দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে বিদায় নেন আর ভেদাত মুরিকির বুট বার্সার গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়ার মাথায় লাগায় সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়। ফলে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ মায়োর্কাকে খেলতে হয় নয় জন নিয়ে।
এমন পরিস্থিতিতেও বার্সা জয়ের ব্যবধান বড় করতে পারেনি। ম্যাচের ৯৪ মিনিটে ইয়ামাল দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে তৃতীয় গোলটি করেন। নিজের অ্যাসিস্টের পর মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়ে শুরুটা রঙিন করে তুললেন এই কিশোর প্রতিভা।
তবুও খুশি নন হান্সি ফ্লিক। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন— ‘৩ পয়েন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি ম্যাচটা একেবারেই পছন্দ করিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ও প্রতিপক্ষ নয় জনে নেমে যাওয়ার পরও আমরা যেন অর্ধেক শক্তি নিয়ে খেলেছি। এমনভাবে খেলা আমার ভালো লাগেনি। দলকে বলেছি—আমাদের আরও দ্রুত খেলতে হবে, আরও গোল করতে হবে।’
ফ্লিক আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কখনও শিথিল হওয়া উচিত নয়। ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। ৫০-৬০ শতাংশ দিয়ে নয়, ১০০ শতাংশ দিয়েই খেলতে হবে।’
তবে ইয়ামালকে নিয়ে ফ্লিক ছিলেন প্রশংসায় ভরপুর— ‘সে বিশেষ এক খেলোয়াড়। সবাই ওকে দেখছে, সবাই জানে সে কতটা প্রতিভাবান। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, সে সবসময় অনুপ্রাণিত থাকে এবং সামনে এগোতে চায়। এই ধারাবাহিকতাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্তব্য করুন