অপেক্ষিতই ছিল পুরস্কারটি। যেই মৌসুমে সবকিছু জিতেছেন, সেই মৌসুমের শেষে ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে বিশ্বসেরা কোচ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন লুইস এনরিকে। ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিকে প্রথমবারের মতো ইউরোপের মুকুট এনে দেওয়া এই স্প্যানিশ কোচ পেলেন মর্যাদাপূর্ণ জোহান ক্রুইফ অ্যাওয়ার্ড।
পিএসজির হয়ে এক মৌসুমে চারটি ট্রফি—ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ, লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ আর সর্বোপরি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেন এনরিকে। বিশেষ করে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৫–০ ব্যবধানে জেতা ফাইনাল তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। শেষ পর্যন্ত ভোটে তিনি পিছনে ফেলেছেন আন্তোনিও কন্তে (নাপোলি), হ্যান্সি ফ্লিক (বার্সেলোনা), আর্নে স্লট (লিভারপুল) এবং এনজো মোরেসকা (চেলসি)-কে।
তবে মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি এনরিকে। ঝড়ের কারণে স্থগিত হওয়া লিগ ম্যাচ—মার্সেই বনাম পিএসজি—ছিল তার অগ্রাধিকার। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ল’কিপ জানিয়েছে, খেলাটি না হলেও এনরিকে যেতেন না, কারণ তিনি ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে বরাবরই সংশয়ে থাকেন।
২০১৫ সালে ফিফার আয়োজনে প্রথমবার বিশ্বসেরা কোচের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এনরিকে। তখন তিনি বার্সেলোনার ডাগআউটে থেকে ট্রেবল জিতেছিলেন। এবার পিএসজির দায়িত্ব নিয়ে আবারো ইতিহাস গড়লেন। গত দুই বছরে কাতারি মালিকানাধীন এই ক্লাবের ধারা পাল্টে দিয়েছেন তিনি—ব্যক্তির চেয়ে দলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নেইমার, মেসি কিংবা এমবাপ্পের তারকাখ্যাতির আড়ালে হারিয়ে যাওয়া দলীয় শক্তিকে আবার সামনে টেনে আনেন।
এনরিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ফুটবলে দলই আসল। একাদশে বড় বড় নাম থাকার চেয়ে সবাই একই ছন্দে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
পিএসজিকে এক মৌসুমে ইউরোপ শাসন করানোই যেন তার দর্শনের সেরা প্রমাণ।
২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করা এনরিকে এখন তাকিয়ে আছেন নতুন চ্যালেঞ্জের দিকে—টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার। ২১শ শতকে কেবল রিয়াল মাদ্রিদই এই কীর্তি গড়েছে। তাই লক্ষ্যটা বড় হলেও অমূলক নয়।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম একে বলছে, ‘প্যারিসের সেনাপতি, যিনি চাইলে পিএসজি তাকে আজীবন কোচ রেখেই দিতে পারে।’
মেয়েদের ফুটবলে এই ট্রফি জেতেছেন সেরেনা উইংম্যান।
মন্তব্য করুন