

চলতি বছরের ক্রিসমাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে দুটি নতুন হলিউড সিনেমা, যা দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক অভিজ্ঞতা। একটি হলো নস্টালজিয়ায় ভরা আত্মসচেতনতামূলক অ্যাডভেঞ্চার কমেডি ও ডার্ক ক্রিসমাস স্ল্যাশার। যেখানে নতুনভাবে কল্পনা করা হয়েছে একটি কাল্ট ক্লাসিক গল্প।
অ্যানাকোন্ডা
অ্যানাকোন্ডা হলো ১৯৯৭ সালের কাল্ট ফিল্ম অ্যানাকোন্ডার একটি মেটা-কমেডি রিবুট। সিনেমাটিতে পল রুড ও জ্যাক ব্ল্যাক অভিনয় করেছেন দুই পুরোনো বন্ধুর চরিত্রে, যারা মধ্যবয়সের সংকটের মুখোমুখি। জীবনে নতুন অর্থ ও রোমাঞ্চ খুঁজতে তারা সিদ্ধান্ত নেন ১৯৯০-এর দশকের তাদের প্রিয় সিনেমাটির একটি অ্যামেচার রিমেক বানাতে এবং সে উদ্দেশ্যে আমাজন রেইনফরেস্টে পাড়ি জমান তারা। যা শুরু হয় স্বল্প বাজেটের একটি আবেগঘন প্রজেক্ট হিসেবে, কিন্তু পরবর্তীতে তা দ্রুতই ভয়ংকর রূপ নেয়। জঙ্গলে শুটিংয়ের সময় এই জুটি মুখোমুখি হয় একেবারে সত্যিকারের, বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। তারা যে কাল্পনিক গল্প পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছিল, সেটাই হঠাৎ বাস্তবে রূপ নেয়— আর তখন শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। কমেডি, অ্যাডভেঞ্চার ও আত্ম-বিশ্লেষণধর্মী হাস্যরসের মিশেলে তৈরি এই সিনেমাটি যেমন মূল ছবির ভক্তদের আকর্ষণ করবে, তেমনি নতুন দর্শকদের কাছেও হবে উপভোগ্য। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন টম গোরমিকান। এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, থান্ডিউ নিউটনসহ আরও অনেকে। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর।
সাইলেন্ট নাইট ডেডলি নাইট সাইলেন্ট নাইট ডেডলি নাইট হলো ১৯৮৪ সালের বিতর্কিত কাল্ট হরর চলচ্চিত্রটির একটি আধুনিক নির্মাণ। এই ছবির গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিলি চ্যাপম্যান। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি শৈশবের গভীর মানসিক ট্রমায় ক্ষতবিক্ষত। বড়দিনের মৌসুম ঘনিয়ে এলে বিলি ধীরে ধীরে এক সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়, সে সময়জুড়ে যাদের সে “দুষ্টু” বলে মনে করে, তাদেরই নিশানা বানায়। মাইক পি. নেলসনের পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোহান ক্যাম্পবেল। সিনেমাটির গল্পে রয়েছে এক অন্ধকার ও বিকৃত প্রেমের গল্পও। মূল ছবির তুলনায় এই সংস্করণে নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি আবেগী গভীরতার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে দর্শক বিলির বিপর্যস্ত অতীত সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২৫ ডিসেম্বর।
মন্তব্য করুন