

অ্যাশেজ ইতোমধ্যেই হাতের মুঠোয়। প্রতিপক্ষকে ৩-০ ব্যবধানে কোণঠাসা করার পর অস্ট্রেলিয়া এবার নজর দিচ্ছে ভবিষ্যতের দিকে। সেই ভাবনা থেকেই সিরিজের বাকি দুই টেস্টে আর মাঠে নামছেন না অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি এড়াতে শেষ মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
পিঠের স্ট্রেস ইনজুরি কাটিয়ে অ্যাডিলেড টেস্টে ফিরেছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার। তবে সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আগেই আলোচনায় ছিল। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে কামিন্সের আর কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। তার ফেরা নিয়ে আমরা অনেক আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম। সিরিজ জেতাই ছিল লক্ষ্য। সেটি পূরণ হওয়ার পর তাকে আবার ঝুঁকির মধ্যে ফেলাটা যুক্তিযুক্ত নয়।’
ম্যাকডোনাল্ড আরও জানান, পুনর্বাসনের সময় সামান্য সমস্যার ইঙ্গিত পেলেও কামিন্সকে সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেওয়া হতো। অধিনায়ক নিজেও এই সিদ্ধান্তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন কোচ।
কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্টিভ স্মিথের। তবে অ্যাডিলেড টেস্টে ইননার-ইয়ার সমস্যায় না খেলতে পারা স্মিথ পুরোপুরি ফিট হলেই দায়িত্ব নেবেন।
এদিকে অস্ট্রেলিয়াকে শেষ দুই টেস্টে খেলতে হবে আরেক বড় নাম ছাড়া। অ্যাডিলেড টেস্টের পঞ্চম দিনে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে ডান হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়ে ফেলেছেন নাথান লায়ন। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হওয়ায় সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
লায়নের জায়গায় দলে ফিরছেন অফস্পিনার টড মার্ফি, যিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফরে। পাশাপাশি স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে ফাস্ট বোলার ঝাই রিচার্ডসনকেও।
রিচার্ডসনের জন্য এটি হতে পারে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ২০২১ সালের অ্যাশেজের পর আর টেস্ট খেলেননি তিনি। একাধিক কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে ফিটনেস ফিরে পেয়েছেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ২৬ ওভার বোলিং করে পাঁচ উইকেট নেওয়ায় নির্বাচকদের নজরে আসেন এই পেসার।
সব মিলিয়ে সিরিজ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া এখন রোটেশন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মনোযোগী—যেখানে অভিজ্ঞদের বিশ্রাম আর অপেক্ষমাণদের সুযোগ দেওয়াই মূল লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন