

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। দলটিকে চারটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। সেগুলো হলো, নীলফামারী-১, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিলেট-৫ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ সময় জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক তার বক্তব্যে বিএনপির কাছে কিছু আবেদন তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাছে আমাদের এই আবেদন থাকবে, যদি আল্লাহ তায়ালা সরকার গঠনের তাওফিক দেন, তাহলে দেশের জনসাধারণের পাশাপাশি ইসলামি অঙ্গনকে যেন গতিশীল করা হয়।’
জমিয়ত সভাপতি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ইসলামের যে অবস্থা ঘটিয়েছে, এখান থেকে যেন আমরা উত্তীর্ণ হতে পারি।’
আগত সরকারের জন্য দোয়া জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা এবং অর্থনীতি, সমাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে সুন্দরভাবে চলার জন্য সামনের সরকারকে যেন রাব্বুল আলামিন তাওফিক দান করেন।’
প্রসঙ্গত, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। দলটির প্রত্যাশা ছিল দশের অধিক আসন। সেই তালিকায় উল্লিখিত চার নেতা ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। তারা হলেন- সিলেট-৪ আসনে দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী , সিলেট-৬ আসনে মাওলানা ফখরুল ইসলাম ,সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা মুখলেছুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-২ আসনে মাওলানা ড.শুয়াইব আহমদ, নড়াইল-১ আসনে মাওলানা তালহা ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মুফতি মুহাম্মদ উল্লাহ জামী।
তবে শেষ পর্যন্ত ৪টি আসন নিয়েই বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হলো জমিয়তের। ফলে সারা দেশে জমিয়তের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন।
মন্তব্য করুন